প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়াকে ফাইনালে তুললেন কিন্তু শিরোপা জেতা হলো না…
মালয়েশিয়া কোচ: খুব কাছে এসে শিরোপা জেতা হলো না বলে একটু হতাশ। তবে ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। আসলে ভারত অনেক শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে একটু মনোযোগ হারালেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে হয়। এই প্রথম আমরা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেললাম। সে দিয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতিও ছিল আমাদের। তবে আমি মনে করি, ছেলেরা অনেক শিখেছে। কোচ হিসেবে আমিও অনেক শিখেছি।
আগের দিন দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল স্নায়ুক্ষয়ী। পরের দিন ফাইনাল খেলতে নামলেন। এর কি কোনো বিরূপ প্রভাব ছিল?
টুর্নামেন্টের স্বাগতিক বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের মূল্যায়নে কি বলবেন?
কোচ: আমি মনে করি না, বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে খারাপ করেছে। বরং বলব, তারা ভালোই করেছে। চীনের মতো র্যাঙ্কিংয়ের ওপরের দিকে থাকা দলকে হারিয়েছে। ষষ্ঠ হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে।
আমাদের মনে হয় এশিয়া কাপে খেলা বাংলাদেশ দলটা নবীন। এই যে তাদের ১৬ বছর বয়সী ছেলেটা (আরশাদ হোসেন) উদীয়মান সেরা খেলোয়াড় হলো। এখন এই ছেলেদের দরকার মানটুকু ধরে রাখা। আরও অনুশীলন করা; আরও বেশি বেশি ম্যাচ খেলে নিজেদের মানকে ওপরে তোলা; বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলে নিজেদেরকে বিকশিত করা। অবশ্য অবকাঠামোটাও গুরুত্বপূর্ণ।
কোচ: আমাদের হকির অবকাঠামো অনেক ভালো। পাইপ লাইনে অনেক খেলোয়াড় আছে। তাদের সেভাবে পরিচর্যাও করা হয়। বিভিন্ন পোগ্রাম আছে। সব সময় আমরা বিকল্প খেলোয়াড় তৈরি পথটা খোলা রাখি। উন্নতির ধারায় থাকতে হলে এগুলো খুব দরকার।
দেশে-দেশের বাইরেও নিয়মিত ম্যাচ খেলার চেষ্টা থাকে আমাদের। যাতে করে আমাদের ছেলেরা আরও বেশি বেশি শিখতে পারে; নিজেদের উন্নত করতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার চাপটা নিতে পারে।
লিগও খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের লিগের মান খুব ভালো। দলগুলোতে স্থানীদের পাশাপাশি অনেক বিদেশি ভালো মানের খেলোয়াড়ও খেলে। এ কারণে আমাদের লিগের মান উঁচুতে। উন্নতিটা করতে হলে আসলে সেটা সামগ্রিকভাবে হতে হবে।