মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে বুধবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে প্রথম কোয়ার্টারে পাকিস্তানকে ভালোভাবে আটকে রাখে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরু থেকে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। মোহাম্মদ ওমর ভুট্টোর শট ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন গোলরক্ষক অসীম গোপ। এরপর আতিক মোহাম্মদের শটও ফেরান তিনি।
অষ্টাদশ মিনিটে মাহমুদ আবু পেনাল্টি কর্নার থেকে জোরালো হিটে লক্ষ্যভেদ করলে লাগিয়ে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ২২তম মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। ডান দিক থেকে আশরাফুল ইসলামের পুশে দরকারি টোকা দিতে পারেননি মিলন হোসেন।
২৬তম মিনিটে ওমরের শট আটকে ব্যবধান বাড়তে দেননি অসীম। পরের মিনিটেই বাংলাদেশ গোলবঞ্চিত হয়। পুস্কর ক্ষীসা মিমোর বাড়ানো বল ধরে সার্কেলের ভেতর ঢুকে রাসেল মাহমুদ জিমির ফ্লিক পোস্টে লেগে ফেরে।
তৃতীয় কোয়ার্টারের প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে ডিফেন্ডার খোরশেদুর রহমান বাধা দিলে পেনাল্টি পায় পাকিস্তান। শাকিল আহমেদ সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন। এরপর ৩৪তম মিনিটে আরসলানের গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করে নেয় পাকিস্তান। সাত মিনিট পর পেনাল্টি কর্নার থেকে ব্যবধান আরও বাড়ান মাহমুদ।
চতুর্থ কোয়ার্টারের শুরুতে বাংলাদেশকে আরও কোণঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ। ওমরের বাড়ানো বল নিখুঁত হিটে অসীমকে পরাস্ত করেন শাকিল। ৫০তম মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে মাহমুদ লক্ষ্যভেদের পর শেষ মুহূর্তে আরসলান স্কোরলাইন ৭-০ করেন।
বুধবার এ গ্রুপের উদ্বোধনী ম্যাচে জাপানকে ৫-১ গোলে হারায় ভারত। আগামী শুক্রবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে জিমিরা।
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় জিমিদের বলের নিয়ন্ত্রণ হারানো বড় হারের কারণ বলে জানালেন টিম ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম কামাল।
“ছেলেরা ঠিকমতো বল ধরে রাখতে পারেনি। তারা খুব তাড়াহুড়োও করেছে। যেখানে আমরা খেলাটাকে স্লো করতে পারতাম, বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে পারতাম, সে জায়গাগুলোতে আমরা কিছু ভুল করে ফেলেছি। এ ম্যাচের ভিডিও সেশন করব-এ ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে আমরা ভারত ম্যাচের পরিকল্পনা করব।”
“অবশ্যই আমাদের ভুল হয়েছে। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। প্রথম কোয়ার্টারে আমরা ভালো করেছি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারও আমাদের খেলা ভালো ছিল। গোল করার সুযোগও আমরা পেয়েছিলাম। কিন্তু তৃতীয় কোয়ার্টারে আমাদের খেলায় নিয়ন্ত্রণ ছিল না এবং তখনই ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।”
“আমাদের ভুলের কারণেই পাকিস্তান গোল করতে সক্ষম হয়েছে। কেননা, তারা এমন কোনো গোল করেনি, যেটা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী। আমরা ভুল করেছি, তাই তাদের গোল করতে সুবিধা হয়েছে।”
বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ আরেক শক্তিশালী দল ভারতকে নিয়ে সতীর্থদের আগে থেকে সতর্ক করে দিলেন জিমি।
“এই পর্যায়ে ভুল করলে রিকোভার করার সুযোগ কম থাকে। বল হারানো, পাকিস্তানকে পেনাল্টি কর্নার পাওয়ার সুযোগ করে দেওয়াটা ভুল। আমরা যদি এই ভুলগুলো শুধরে না নিতে পারি, তাহলে পরের ম্যাচে আমাদের ফল এর চেয়েও খারাপ হতে পারে।”