শনিবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আবাহনীর সাবেক এই খেলোয়াড় ও কোচের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
অমলেশ ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সারথীও। ছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য। ফুটবলে অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান তিনি।
আবাহনীর টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু সাংবাদিকদের বলেন, “বিকালেও তিনি দলকে অনুশীলন করিয়েছেন। টিম মিটিংয়েও ছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ করলে তাকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটে নেওয়া হয়।”
১৯৪৩ সালের ২ মার্চ বগুড়ায় জন্ম নেন অমলেশ। ১৯৬২ সালে ফায়ার সার্ভিসের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে যাত্রা শুরু। এরপর যোগ দেন ইস্ট এন্ড ক্লাবে। ১৯৭০ সালে নাম লেখান ঘরোয়া ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে অমলেশ যোগ দেন আবাহনীকে। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত আবাহনীতে খেলা এই ফুটবলারের নামই হয়ে যায় ‘আবাহনীর অমলেশ’। খেলোয়াড়ী জীবনের পাট চুকিয়ে দেওয়ার পর বিভিন্ন দফায় আবাহনীর কোচ ছিলেন তিনি।
গত মৌসুমে জর্জ কোটান আবাহনীর দায়িত্ব নিলে সহকারী কোচ হন অমলেশ। চলতি মৌসুমেও কাজ করছিলেন দ্রাগো মামিচের সহকারী হিসেবে।