পিটার শিলটনের পর ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৯টি ম্যাচ খেলা রুনি মাত্র ১৭ বছরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রেখেছিলেন। ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হয় তার অভিষেক।
২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে গোল করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের খাতা খুলেন রুনি। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের হয়ে ববি চার্লটনের ৪৯টি গোলের রেকর্ড ভাঙ্গেন দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩টি করা এই ফরোয়ার্ড।
৩১ বছর বয়সী রুনি জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৬ সালের নভেম্বরে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। আর ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়ন্সশিপের শেষ ষোলতে আইসল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ডের ভরাডুবির ম্যাচে সবশেষ গোল করেছিলেন তিনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে এভারটনে ফেরার পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম দুই ম্যাচে দুটি গোল করায় আবারও রুনির জাতীয় দলে ফেরার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল।
রাশিয়ায় বিশ্বকাপ এক বছরের কম সময়ের মধ্যে হলেও আর জাতীয় দলে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন রুনি। ক্লাব ক্যারিয়ারেই নজর দিতে চান ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সম্প্রতি ২০০তম গোল করা এই খেলোয়াড়।
অবসরের ঘোষণা নিয়ে বিবৃতিতে রুনি বলেন, “এটা দারুণ যে, গ্যারেথ সাউথগেট এই সপ্তাহে আমাকে ডেকেছিলেন। আমাকে বলেন, সামনের ম্যাচগুলোর জন্য আমাকে ইংল্যান্ড দলে ফেরাতে চেয়েছিলেন তিনি।”
রুনির সকল ভাবনা এখন এভারটন নিয়ে। শৈশবের ক্লাবটিকে সফল করতে নিজের সবটুকু ঢেলে দেওয়ার ইচ্ছা তার। তবে সমর্থক হয়ে সবসময় জাতীয় দলের পাশে থাকবেন বলেও জানালেন তিনি।
“ইংল্যান্ডের একনিষ্ঠ একজন ভক্ত হয়ে থাকবো আমি। টুর্নামেন্ট সফল একটি ইংল্যান্ড দলের অংশ হতে না পারা আমার গুটিকয়েক অনুশোচনার মধ্যে একটি।”
ইংল্যান্ডের হয়ে ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ খেলা রুনি দলটির হয়ে খেলেছেন ২০১২ ও ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন্সশিপও।