২০১৪-১৫ মৌসুমে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের লিগ শিরোপা জয়ে ১৭ গোল করেন ওয়েডসেন। পরের মৌসুমে করেছিলেন ৯ গোল। এরপর ইস্ট বেঙ্গলে যোগ দেন হাইতির এই ফরোয়ার্ড।
২০১৩-১৪ লিগে শেখ জামালের জার্সিতে ২৬ গোল করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ওয়েডসেন। অল্পের জন্য সেবার পারেননি লিগের ইতিহাসে সালাম মুর্শেদীর গড়া ২৭ গোলের রেকর্ড ভাঙতে।
ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে গত মৌসুমে আট গোল করা ওয়েডসেনকে এনে লিগে ভালো কিছু পাওয়ার আশা সাইফ স্পোর্টিংয়ের। দলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিন চৌধূরী চুক্তি নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপাতত ছয় মাসের চুক্তিতে আমরা তাকে নিয়েছি। ভালো করলে চুক্তির মেয়াদ বাড়ার সুযোগ থাকবে। এই ছয় মাসের জন্য আমরা তাকে ৫৫ লাখ টাকার মতো দিব।”
বাংলাদেশে ফিরতে পেরে খুশি ওয়েডসেনও। সাংবাদিকদের কাছে হাইতির এই ফরোয়ার্ড জানান সাইফ স্পোর্টিংয়ের পরিকল্পনা ভালো লেগেছে বলেই ফিরেছেন তিনি।
“আমি মনে করি বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কেননা, এখানে আমি পাঁচটি বছর কাটিয়েছি। যেটা যেকোনো দেশে থাকার চেয়ে বেশি। বাংলাদেশকে খুব ভালো করে জানি। এখানে শুধু অর্থের জন্য আসিনি। যেখানেই খেলি না কেন, এখানকার লোকজনের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।”
“যখন আমি শেখ জামালে যোগ দিয়েছিলাম, তখন সেটা ছোট একটা দল ছিল। কিন্তু আমরা সেটাকে বড় দলে রূপ দিয়েছিলাম। ক্লাব সভাপতি অনেক অর্থ খরচ করেছিলেন; সনি নর্দে, এমেকা ডারলিংটনের মতো খেলোয়াড় নিয়ে এসেছিলেন। সাইফ এ মুহূর্তে বড় দল নয়। কিন্তু তারাও হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, তপু বর্মন, জুয়েল রানার মতো খেলোয়াড় নিয়েছে। আশা করি, এদের সঙ্গে নিয়ে সাইফকে ভালো কিছু এনে দিতে পারব।”
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে পারে দ্বিতীয় ধাপের দলবদল। সে সময় নিবন্ধন করার পর সাইফ স্পোর্টিংয়ের হয়ে খেলতে পারবেন ওয়েডসেন।