এবারও দ্রুততম মেজবাহ-শিরিন

১০০ মিটার স্প্রিন্টের মুকুট ধরে রেখেছেন মেজবাহ আহমেদ ও শিরিন আক্তার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2017, 10:54 AM
Updated : 22 July 2017, 03:51 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্সের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে ছেলেদের ১০০ মিটারে ১০ দশমিক ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে শাহ ইমরান ও শরীফুল ইসলামকে পেছনে ফেলে সেরা হন মেজবাহ।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্সের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে ছেলেদের ১০০ মিটারে ১০ দশমিক ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে শাহ ইমরান ও শরীফুল ইসলামকে পেছনে ফেলে সেরা হন মেজবাহ।

১০ দশমিক ৯০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ইমরান দ্বিতীয় ও ১১ দশমিক ১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে শরীফুল তৃতীয় হয়েছেন।

সবমিলিয়ে জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে তিনবার, সামার অ্যাথলেটিক্সে দুইবার ও বাংলাদেশ গেমসে একবার সেরা হন বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হয়ে খেলা মেজবাহ।

আগামী অগাষ্টে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে লন্ডনের ট্র্যাকে নামার আগে দেশের ট্র্যাকের সাফল্য আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলে জানিয়েছেন মেজবাহ।

“আমি এই ইভেন্ট নিয়ে আমি খুব আশা করে ছিলাম; কেননা, সামনে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, এখানে খারাপ করলে ওখানে ভালো কিছু করা কঠিন হয়ে যেত।”

“তবে এই টাইমিংয়ে আমি খুশি না। কিন্তু এই মাঠে আসলে এর চেয়ে ভালো টাইমিং করা সম্ভবও না। কেননা, এই টার্ফ অনেক পুরান হয়ে গেছে, তাই স্লো হয়ে গেছে।”

সামনে এসএ গেমসও আছে। আর্ন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় অ্যাথলেটিক্সের সাফল্য খরা কাটাতে হলে ফেডারেশনের কাছে কিছু দাবিও জানিয়ে রাখলেন দেশের এই দ্রুততম মানব।

“আরও ভালো কিছু করতে হলে আমাদের সবকিছু আর্ন্তজাতিক মানের হতে হবে। যেমন ইলেক্ট্রনিক্স টাইমিং হলে ভালো হয়। কদিন আগে কিন্তু আমি ভুবনেশ্বরে ইলেক্ট্রনিক্স টাইমিং ১০.৮৮ সেকেন্ডে দৌড়ে এসেছি।”

মেয়েদের ১০০ মিটারে দৌড় শেষ করতে শিরিন সময় নেন ১২ দশমিক ৩০ সেকেন্ড। সোহাগী আক্তার ১২ দশমিক ৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় ও সুস্মিতা ঘোষ ১২ দশমিক ৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে তিনবার ও সামার অ্যাথলেটিক্সে দুইবার সেরা হলেন শিরিন।

গত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে দ্রুততম মানবী শিরিনকে না পাঠিয়ে আলিদা শিকদারকে পাঠিয়েছিল ফেডারেশন। ওই ঘটনা নিয়ে ওঠা প্রশ্নে শিরিন কৌশলী উত্তরই দিলেন। এমনকি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে না যেতে পারলেও ক্ষুব্ধ নন তিনি।

“আসলে ওভাবে রাগ বা অন্য কিছু ছিল না। আমাদের অভিভাবকরা যেভাবে মনে করেছে, সেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার এগুলো নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই। আমার মাথা ব্যাথা নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে। আমাকে কোথায় পাঠাবে, কোথায় পাঠাবে না এসব নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই। এটা কতৃপক্ষের ব্যাপার।”

“হয়ত একজনের যাওয়ার সুযোগ ছিল, এ কারণেই মেজবাহ যাচ্ছে। যদি দুই জনের যাওয়ার সুযোগ থাকলে হয়ত আমিও যেতে পারতাম।”

মেজবাহর মতো নিজের টাইমিং নিয়েও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন শিরিন। তিনিও হ্যান্ড টাইমিংয়ের বলয় থেকে ফেডারেশনকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানলেন। জানালেন আগমী এসএ গেমসে সোনা জেতার আশাবাদও।

“টাইমিং নিয়ে খুব সন্তুষ্ট নই। মোটামুটি সন্তুষ্ট। আসলে আজকে বাতাস ছিল। তবে আমাদের টাইমিংয়ের হিসাবটা ইলেক্ট্রনিক্সে হলে ভালো হয়। আমার বেস্ট ১১.৯৯ (ইলেক্ট্রনিক্স) আর হ্যান্ড টাইমিংয়ে ১১.৮৪।”

“দেখুন অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমার মনে হয়, আমি পারব। পারতেই হবে, এমন একটা মনোভাব আমার আছে। এখন কাফি (আব্দুল্লাহ হেল কাফি) স্যারের কাছে অনুশীলন করছি। বিকেএসপির ডিজি স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি, যদি এভাবেই অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস আমি পারব।”