রোববার রোলা গাঁরোয় টুর্নামেন্টের তৃতীয় বাছাই সুইজারল্যান্ডের ভাভরিঙ্কাকে ৬-২, ৬-৩, ৬-১ গেমে হারান নাদাল। তিনবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন ভাভরিঙ্কার সঙ্গে এই নিয়ে ১৯ বারের দেখায় ১৬টি ম্যাচ জিতলেন নাদাল।
আসরে কোনো সেট না হেরেই শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়লেন এই স্প্যানিয়ার্ড। সাত ম্যাচে তিনি হেরেছেন মাত্র ৩৫ টি গেম। দারুণ এই সাফল্যে নোভাক জোকোভিচকে হটিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন নাদাল।
এর আগে ২০১৪ সালের ফরাসি ওপেনে সবশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী নাদালকে মাঝে বেশ কয়েক ধাপে চোটের সঙ্গে লড়াই করতে হয়। জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠলেও রজার ফেদেরারের কাছে হেরে যান তিনি।
ক্যারিয়ারে নাদালের এটা পঞ্চদশ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের তালিকায় ছাড়িয়ে গেলেন ১৪টি জেতা যুক্তরাষ্ট্রের পিট স্যাম্প্রাসকে। ১৮টি জিতে সবার উপরে কিংবদন্তি রজার ফেদেরার।
ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত নাদাল বলেন, “আমি একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। এই কোর্টে আমি যতটা স্নায়ুচাপ ও উত্তেজনা অনুভব করি তার তুলনা করা অসম্ভব।”
ক্যারিয়ারে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় জুড়ে চাচা তনি নাদালকে কোচ হিসেবে পেয়েছেন রাফায়েল নাদাল। চলতি মৌসুম শেষে তার প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তনি নাদাল।
রোলা গাঁরোয় ২০০৫ সালে প্রথম শিরোপা জয়ের পর থেকে এখানে ৭৯টি ম্যাচ জিতেছেন নাদাল, হেরেছেন মাত্র দুটি।
ফাইনালে হেরে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ভাভরিঙ্কা। তবে চ্যাম্পিয়ন নাদালের প্রশংসায় তিনি বলেন, “এটা কঠিন একটা পরাজয়। কিন্তু আমি ক্লে-কোর্টের সবসময়ের সেরা খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলেছি।”
শনিবার নারী এককের ফাইনালে সিমোনা হালেপকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েন অবাছাই হিসেবে প্রতিযোগিতা শুরু করা লাটভিয়ার ইয়েলেনা ওস্তাপেঙ্কো।