গত মৌসুমে স্বাধীনতা কাপ জেতা চট্টগ্রাম আবাহনী প্রিমিয়ার লিগে হয়েছিল দ্বিতীয়। বিদায় নিয়েছিল ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে। ২৮ জন নিয়ে শনিবার ঘর সাজানোর প্রক্রিয়া শেষের পর দলটির ম্যানেজার আরমান আজিজের দাবি সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্যে ‘ভারসাম্যপূর্ণ’ দল গুছিয়েছে তারা।
“কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলে থেকে গেছে। অভিজ্ঞ ও তরুণদের নিয়ে আমরা ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়েছি। লিগে আশা করি আমরা ভালো করব।”
জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার মামুনুলের সঙ্গে চট্টগ্রাম আবাহনীর মাঝ মাঠে এবার যোগ হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের সোহেল রানা, ব্রাদার্স ইউনিয়নের মানাফ রাব্বী, গত লিগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের হয়ে নজর কাড়া জাফর ইকবাল ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
গত লিগে ছয় গোল করা জাহিদের সঙ্গে চট্টগ্রামের দলটির আক্রমণভাগে নতুন যোগ হয়েছেন গত মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হয়ে পাঁচ গোল করা রনি, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে আট গোল করা তৌহিদুল আলম সুবজ, ফেনী সকারের হয়ে ছয় গোল করা চৌমরিন।
শেখ কামাল ক্লাব কাপের গত আসরে সেমি-ফাইনালে উঠেছিল মানাং মার্সিয়াংদি। নেপালের দলটির হয়ে ৩ গোল করা ওলাডিপোকে নিয়ে আক্রমণভাগের শক্তি বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে উচ্চাশা আরমানের।
“সম্প্রতি আমাদের লিগে বিদেশিদের মধ্যে যারা ভালো করেছে-সনি নর্দে, ওয়েডসেন আনসেলমে, লি টাক-আমার বিশ্বাস ওলাডিপো তাদেরকে ছাড়িয়ে যাবে।”
গোলকিপার: আশরাফুল ইসলাম, সবুজ দাস রুঘু, মোহাম্মদ নেহাল, মোহাম্মদ রাসেল।
ডিফেন্ডার: মনসুর আমিন, নুরুল নাঈম ফয়সাল, মুফতা লাওয়াল, কৃষ্ণ পদ, সুশান্ত ত্রিপুরা, অ্যালিসন উডোকা, রিদোয়ান রহমান রাকিন, মোহাম্মদ হান্নান, পিন্টু কুমার দাস।
মিডফিল্ডার: জাহিদ হোসেন, কৌশিক বড়ুয়া, মামুনুল ইসলাম, সোহেল রানা, মানাফ রাব্বী, সোহানুর রহমান, জাফর ইকবাল, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আরিফুর রহমান, মাশুক মিয়া জনি, শফিকুল ইসলাম।
ফরোয়ার্ড: চৌমরিন রাখাইন, তৌহিদুল আলম সবুজ, শাখাওয়াত হোসেন রনি, আব্দুর রউফ ওলাডিপো।