আগামী রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে আবাহনী। মঙ্গলবার কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মোহন বাগানের মুখোমুখি হবে দ্রাগো মামিচের দল।
হার দিয়ে এএফসি কাপ শুরু করা দুটি দলের জন্যই ম্যাচটি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের দল মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনের কাছে ২-০ ব্যবধানে হারে আবাহনী। বেঙ্গালুরু এফসির কাছে মোহন বাগানের হার ২-১ গোলের।
জুয়েল রানা, তপু বর্মন, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, শাকিল আহমেদ ও আরিফুল ইসলাম-এই পাঁচ জন আগে থেকেই নেই চুক্তির জটিলতায়। সামাদের সঙ্গে এ ম্যাচের দলে নেই আতিকুল ইসলাম ফাহাদ ও গোলরক্ষক জিকো। আবাহনীর টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু জানালেন, ঘানার ডিফেন্ডার সামাদকে না পাওয়ায় দলের দুর্ভাবনা বেড়েছে আরও।
“সামাদকে পাচ্ছি না পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতায়। যদিও এমন ম্যাচে তার সার্ভিসটা আমাদের বড্ড প্রয়োজন ছিল। তারপরও সামাদের জায়গায় নাসিরউদ্দিন চৌধুরী খেলবে, আশা করি নাসির অভাবটা পূরণ করতে পারবে।”
৩ করে পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে ‘ই’ গ্রুপে মাজিয়া শীর্ষে, বেঙ্গালুরু দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মোহন বাগান তৃতীয় ও আবাহনী চতুর্থ।
প্রতিপক্ষকে সমীহ করে রুপু জানালেন, ভারত থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফেরার আশা। চাওয়া পূরণে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এমেকা ডারলিংটন ও জোনাথন ডেভিডের দিকে তাকিয়ে থাকার কথাও জানালেন সাবেক এই খেলোয়াড়।
“প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচই আশা করছি। কারণ দু’দলের সামর্থ্য প্রায় সমান। আর দু’দলই এ ম্যাচ শুরু করবে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে। লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয়ই হবে দুই দলের একমাত্র লক্ষ্য।”
“মোহন বাগান কিছুটা এগিয়ে থাকবে; কারণ, তারা চারজন বিদেশি খেলাতে পারবে। সেখানে আমাদের খেলতে হবে দু’জন বিদেশি নিয়ে। তারপরও আমরা জয়ের জন্য সেরাটাই দেয়ার চেষ্টা করব।”