এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ক্লাব কাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল।
‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে ওঠা এফসি পচেয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ সারির দল। অন্যদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী ঘরোয়ার সর্বোচ্চ লিগের দল। মামুনুল, নাসিরউদ্দিনদের আছে দেশে ও দেশের বাইরে শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতাও। টিটোর বিশ্বাস এই অভিজ্ঞতাই এগিয়ে রাখবে তার দলকে।
“মামুনুল এবং দলের আরও অনেকে অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এফসি পচেয়নের খেলোয়াড়দের এই অভিজ্ঞতা হয়ত নেই। সেমি-ফাইনালে এই অভিজ্ঞতাও আমাদের কাজে লাগবে।”
“গতবারের চ্যাম্পিয়ন আমরা। এবার সেমি-ফাইনালে উঠে প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ করেছি। সবাই আশা করে ফাইনালে যাব, চ্যাম্পিয়ন হবো। আমরা এখনও সেই ট্র্যাকে আছি।”
‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেরা চারে উঠে এলেও দলের খেলা নিয়ে খুব একটা খুশি নন টিটো। এফসি পচেয়নের বিপক্ষে সেরাটা দিতে উন্মুখ থাকার কথাও জানান তিনি।
“আমরা টুর্নামেন্টে সেরা খেলাটা দেওয়ার জন্য বসে আছি। আসলে তাদের হারাতে হলে সেরা খেলাটাই লাগবে। মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। জিততে হলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের পারফরম্যান্স লাগবে।”
গতিময় ফুটবল খেলা এফসি পচেয়নকে সমীহ করতে অবশ্য ভোলেননি টিটো। টিম শেপ, ডিফেন্ডিং, অ্যাটাকিং, ট্রানজিশনে দক্ষিণ কোরিয়ার দলটি এগিয়ে বলেও মনে করেন তিনি।
“তারা যে সুযোগগুলো তৈরি করেছে, সে অনুযায়ী তারা গোল পায়নি। তিন ম্যাচে সম্ভবত তিন গোল করেছে। কিন্তু কোনো সন্দেহ নেই প্রতিপক্ষ হিসেবে এফসি পচেয়ন শক্তিশালী।
প্রস্তুতি নিয়ে খুশি এফসি পচেয়নের অধিনায়ক হান ইয়ং সু অবশ্য কাউকে ফেভারিট মানছেন না, “আমাদের প্রস্তুতি ভালো। দলের ওপর আমার আস্থা আছে। এ পর্যন্ত দল যেভাবে খেলেছে, আমি খুশি। একটু চাপ আছে কিন্তু এ নিয়ে চিন্তিত নই।”
এফসি পচেয়নের টিম অফিসিয়াল লি কুয়েং দিউকের ফাইনালে ওঠার চাপটা চট্টগ্রাম আবাহনীর ওপরই বেশি বলে মনে করেন, “ওরা প্রিমিয়ার লিগে খেলে। এই টুর্নামেন্টেরও চ্যাম্পিয়ন। চাপটা তাই আমাদের ওপর নয়। ওদের ওপর।”