তিন ভূমিকায় কিরগিজস্তানের সারবাঘিশেভ

কখনও খেলোয়াড় ও অধিনায়ক পরিচয়ে কোর্টে। কখনও তিনি কোর্টের পাশে দাঁড়িয়ে সহকারী কোচের ভূমিকায় মগ্ন হয়ে নোট ঠুকছেন, দলের খেলোয়াড়দের দিচ্ছেন পরামর্শ। এই দুই ভূমিকাতেও শেষ নয় কিলিচবেক সারবাঘিশেভের পরিচয়। তিনি আবার কিরগিজস্তান ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকও!

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Dec 2016, 11:58 AM
Updated : 23 Dec 2016, 11:58 AM

মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে শুক্রবার আফগানিস্তানকে ৩-১ সেটে হারায় কিরজিস্তান। ম্যাচ শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাচারিতায় সারবাঘিশেভ তার বহুমুখী ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। সেখানে উঠে এলো কিরগিজস্তানের ভলিবল, বাংলাদেশের প্রতি তার আন্তরিক ভালোবাসাসহ আরো অনেক কিছু।

সারবাঘিশেভ জানালেন ২০০৯ সালে তাদের ভলিবল ফেডারেশনের যাত্রা শুরু। এর দুই বছর পর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি। খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া নিয়ে বললেন, “২৭ বছর ধরে আমি ভলিবল খেলছি। আমাদের ফেডারেশন বয়সে তরুণ। ২০০৯ সালে শুরু হয়েছে এর যাত্রা। আমাকে দায়িত্ব নিতে বলা হলো; ২০১১ সাল থেকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছি।”

একই সঙ্গে খেলোয়াড়, সহকারী কোচের দায়িত্বের সঙ্গে ফেডারেশনের প্রাতিষ্ঠানিক ‘ঝামেলা’ সামলানো চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু ৩৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় জানালেন এত দায়িত্ব উপভোগই করেন তিনি।

“এটা আসলে কোনো রোল প্লে করার বিষয় নয়। আগেই বলেছি, আমাদের ফেডারেশন খুব বেশি দিনের নয়। পরিস্থিতির কারণে একসঙ্গে এতগুলো কাজ করতে হয়। আমিও চাপ অনুভব করি না। বলতে পারেন, উপভোগই করি।”

বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা, আতিথেয়তায় মুগ্ধ সারবাঘিশেভ। সুযোগ পেলে আবারও আসতে চান, দলের প্রয়োজনে কোর্টে নেমে পড়তে চান বলেও জানালেন তিনি।

“আমাকে আরও একবার বলতে দিন-বাংলাদেশের মানুষ অসাধারণ। এখানকার আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ পুরুষ ভলিবল দল আমাদের দেশে গিয়েছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আঞ্চলিক পর্ব খেলতে, তখন আমাদের দেশে যাওয়াটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন ছিল। সে সময় আমি আপনাদের সভাপতির কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম বলেছিলাম, আপনারা আসুন, আমিও আপনাদের কোনো আয়োজনে একটা দল নিয়ে আসব।”

“এ মুহূর্তে আমাদের দলে খেলোয়াড়ই ছিল সাতজন। যেহেতু প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, বলেছিলাম যে কোনো মূল্যে আসব দল নিয়ে, সে কথা রাখতে এসেছি। গত বছর খেলা থেকে অবসর নিয়েছি কিন্তু আমার মনে হয়েছে, এখানে আমাকে মাঠে, মাঠের বাইরে সব জায়গাতে ভূমিকা রাখতে হবে। তাই নেমে পড়লাম।”

আগামীতেও সম্পর্কটা অটুট থাকবে বলেও আশাবাদী সারবাঘিশেভ। বিশ্বকাপের বাছাইয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ে সেরা হওয়াটা কিরগিজস্তানের এখন পর্যন্ত সেরা সাফল্য জানিয়ে বললেন জাবিরদের ডাকে যে কোনো সময় সাড়া দিতে প্রস্তুতি তিনি।

“বাংলাদেশের ভলিবলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা সবে শুরু। আগামীতে আমরা আরও আরও বেশি ম্যাচ খেলব এবং আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। এই দলের অনেকে আমাদের বন্ধু। আমরা ভাই ভাই। তো আমরা বাংলাদেশের যেকোনো আহ্বানে সাড়া দিতে আমরা প্রস্তুত।”