সাত ম্যাচে চার জয় ও তিন ড্রয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শেখ জামাল। লিগে প্রথম হারের স্বাদ পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার শুরুতেই প্রতিআক্রমণ থেকে এগিয়ে যেতে পারত মুক্তিযোদ্ধা। মুবারক হোসেন ভূইয়ার বাড়ানো বলে তৌহিদুর আলম তৌহিদের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক মাকসুদুর রহমান।
পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। ডান দিক থেকে কেষ্ট কুমার বোসের বাড়ানো বল ধরে মামুন খানকে পরাস্ত করেন এমেকা ডারলিংটন। দুই মিনিট পর এমেকা পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় লিগের শিরোপাধারীরা। মোহাম্মদ শিহাবের হেড সাইদুল হকের হাতে বল লাগলে স্পট কিকের বাঁশি বাজান রেফারি।
ত্রয়োদশ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন আহমেদ কোলো মুসা। বক্সের মধ্যে ইয়াসিন খান মোবারককে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু মুসার দুর্বল স্পট কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান গোলরক্ষক মাকসুদুর।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ম্যাচে ফেরা গোলের নাগাল পায় মুক্তিযোদ্ধা। বাঁ দিক থেকে আক্রমণে যাওয়া জাভেদ আক্তারকে আটকাতে ফাউল করেন গোলরক্ষক মাকুসুদুর। স্পট কিক থেকে স্কোরলাইন ৩-১ করেন তৌহিদুল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান আরও কমিয়ে নিতে পারত মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু ডান দিক থেকে মোবারকের বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন তৌহিদুল। প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৭৫তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল তুলে নেয় সিমোন। বক্সের ডান দিকের ওপর থেকে আলতো টোকায় বল কিছুটা এগিয়ে নিয়ে বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড।
পরের মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে শিহাব মাঠ ছাড়লে শেখ জামাল আরেকটি ধাক্কা খায়। শেষ দিকে মুফতা লাওয়ালের দূরপাল্লার শট ক্রসবার ঘেঁষে উড়ে গেলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুক্তিযোদ্ধাকে।
সোমাবার প্রথম ম্যাচে স্যামসন ইলিয়াসুর জোড়া গোলে উত্তর বারিধারাকে ২-১ গোলে হারায় বিজেএমসি। লিগে এটি বিজেএমসির প্রথম জয়।