অলআউট ফুটবলের ছকে বাংলাদেশের মেয়েরা

৩-০, ৫-০ এরপর ১০-০ গোলে জয়! বাংলাদেশের মেয়েদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে এখন তুঙ্গে। আত্মবিশ্বাসী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও। অলআউট ফুটবল খেলে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে শক্তিশালী চাইনিজ তাইপেকে এবার হারানোর লক্ষ্য তার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2016, 12:37 PM
Updated : 3 Sept 2016, 02:13 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাছাইপর্বে ‘সি’ গ্রুপের নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রতিপক্ষের জালে ২০ গোল করে পাওয়া টানা তিন জয়ে দারুণ ছন্দে আছে চাইনিজ তাইপেও।

বাছাইপর্ব শুরুর আগে ছোটন জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডের মূল পর্বে খেলার টিকেট পেতে চাইনিজ তাইপে হবে তার আসল প্রতিপক্ষ। কিরগিজস্তানকে উড়িয়ে দেওয়ার পর বলেছিলেন চাইনিজ তাইপের ম্যাচটি তার জন্য ‘ফাইনাল’। সেই ‘ফাইনাল’ জয়ের ছক কষছেন তিনি।

কৃষ্ণা, মার্জিয়া, মারিয়াদের ওপর আস্থার কমতি নেই কোচের। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানালেন, চোট সমস্যা না থাকার স্বস্তিও আছে। গত বাছাইয়ে ‘ডি’ গ্রুপে সেরা হওয়া চাইনিজ তাইপেকে হারানোর ব্যাপারে আশবাদী তিনি।

“অবশ্যই আমরা জয়ের জন্য মাঠে নামব। মেয়েদের ওপর আমার আত্মবিশ্বাস আছে। গত তিনটা ম্যাচে তারা যেভাবে খেলেছে, এ ম্যাচেও একইভাবে খেলবে।”

“এ ম্যাচের ওপর দু’দলের চূড়ান্তপর্বে যাওয়া না যাওয়া নির্ভর করছে। দু’দলই চাইবে জিততে এবং অলআউট ফুটবল খেলবে। তারাও শক্তিশালী দল। তবে আমরাও জয়ের জন্য অলআউট খেলব।”

অলিখিত ‘ফাইনাল’ বলে চাপ না নেওয়ার কথাও জানান বাংলাদেশ কোচ, “এই মেয়েরাই কিন্তু গত দু’টি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে। সুতরাং ফাইনালের ম্যাচের চেয়ে চাপের ম্যাচ আর কোনোটা হতে পারে না। টোটাল ফুটবল খেলে ম্যাচ বের করে আনার লক্ষ্য আমাদের।”

শুক্রবার বিকালে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কৃষ্ণা-তহুরারা নিয়েছেন আবাহনী ক্রীড়া চক্রের মাঠে। অনুশীলনে চাইনিজ তাইপের গত তিন ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা থেকে প্রতিপক্ষের শক্তি, দুর্বলতা শিষ্যদের বুঝিয়ে দিয়েছেন কোচ। দিয়েছেন প্রতিপক্ষের চার ফুটবলারকে আটকে রাখার নির্দেশনাও।

“ওদের চার খেলোয়াড় ফরোয়ার্ড হি শিন-রৌ, মিডফিল্ডার উ হু-জৌ, নিয়েন চিং-ইউন ও ঝেং ইয়া-জিহর ওপর বিশেষ নজর আছে আমার। এ চার জনই ওদের মূল খেলোয়াড়।”

গত তিন ম্যাচে আধিপত্য করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রতিপক্ষের অর্ধে খেলা হওয়ায় ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় গোলরক্ষক মাহমুদাকে অলস সময় কাটাতে হয়েছে পোস্টের নিচে। চাইনিজ তাইপে ম্যাচের জন্য ছোটন মাহমুদাকে বাড়তি অনুশীলন করিয়েছেন। এই গোলরক্ষকও জানালেন, তিনি প্রস্তুত।

“আমি ভয় পাই না। গত তিন ম্যাচে বল ধরতে হয়নি বলে অনুশীলনে আরও বেশি শ্রম দিতে হয়েছে। গতকালের অনুশীলনেও আমাকে আলাদাভাবে কাজ করিয়েছেন কোচেরা। গত তিন ম্যাচে মার্জিয়া, কৃষ্ণারা ওদের সেরাটা দেখিয়েছে; আমি সুযোগ পাইনি। এ ম্যাচে সুযোগ এলে আমি হতাশ করব না।”