রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকের ষষ্ঠ দিনে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতে সোনা জিতে অনন্য এক রেকর্ড গড়েন ফেলপস। অলিম্পিক ইতিহাসে সাঁতারের এক ইভেন্টে টানা চারটি সোনা জেতা একমাত্র সাঁতারু হয়ে গেছেন তিনি।
২০০ মিটার মেডলি জেতার পর শারীরিক সমস্যার বিষয় উল্লেখ করে ফেলপস বলেন, “অনেক ব্যথা করে …আমার শরীরে ব্যথা, আমার পায়ে ব্যথা, আমি ক্লান্ত।”
৩১ বছর বয়সী ফেলপসের রিও অলিম্পিকে দুটি ব্যক্তিগত ও দুটি দলীয় সোনা জেতা হয়ে গেছে। লন্ডনে গত অলিম্পিকেও চারটি সোনার পদক গলায় ঝুলিয়েছিলেন তিনি। এর আগে ২০০৪ সালে এথেন্সে ৬টি আর বেইজিংয়ে আটটি সোনা জেতেন সর্বকালের সেরা এই অলিম্পিয়ান।
লন্ডনে গত অলিম্পিকে চারটি সোনা জয়ের পরও ফেলপস বলেছিলেন, তিনি প্রস্তুতি আর ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। নিজের সবচেয়ে প্রিয় ইভেন্ট ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে হেরে গিয়েছিলেন সেবার।
লন্ডন অলিম্পিকের পর অবসরে চলে গিয়েছিলেন ফেলপস। রিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার জন্য অবসর ভেঙে আবার পুলে ফেরেন। লন্ডনের অপূর্ণতা ঘুচিয়ে দেওয়ার সংকল্প নিয়েই রিওতে পা রেখেছিলেন তিনি। সেই আশা পূরণ হওয়ায় বেশ খুশি ফেলপস।
রিওর দর্শকও ফেলপসকে যথেষ্ট সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে। তার ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলি সাঁতারের সময় গ্যালারিতে 'ফেলপস সর্বকালের সেরা অলিম্পিয়ান' লেখা একটা ব্যানারও দেখা যায়।
দর্শকদের ভালোবাসায় মুগ্ধ ফেলপস পদক নিতে পোডিয়ামে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় আনন্দাশ্রুতে চোখ ভিজে যায় তার।
এর পর স্যালুটের বিনিময়ে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেন। ফেলপসের সোনালি এই সাফল্য উদযাপন করতে দর্শক সারিতে তখন শিশুপুত্র বুমারকে নিয়ে বসে ছিলেন তার প্রেমিকা নিকোলে।
তবে ব্যস্ততা ফেলপসকে তখন তার প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর ফুসরত দেয়নি। আবেগ সামলে আর ব্যথা ভুলে একটু পরই আবার তাকে পুলে নামতে হয়; ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ের সেমি-ফাইনালে। শনিবারের ফাইনালে থেকে আরেকটি সোনা আসতে পারে জীবন্ত এই কিংবদন্তির।