কসোভোর কেলমেন্দির ইতিহাস

স্বাধীনতা এসেছে, কিন্তু প্রয়োজন ছিল স্বীকৃতির। রিও গেমসে সেটা মেলার পর অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া কসোভোকে প্রথম সোনার পদক এনে দিয়েছেন জুডোকা মাইলিন্দা কেলমেন্দি। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2016, 01:57 AM
Updated : 8 August 2016, 03:55 PM

রোববার দারুণ জমে ওঠা মেয়েদের ৫২ কেজি ওজনশ্রেণির ফাইনালে ইতালির ওদেত্তে জুফ্রেইদাকে ১ পয়েন্টের ব্যবধানে হারান কেলমেন্দি। অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বেজে উঠে কসোভোর জাতীয় সঙ্গীত।
 

সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ২০০৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে কসোভো। কিন্তু নতুন বলকান দেশটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্যপদ পায় ২০১৪ সালে। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে তাই আলবেনিয়ার পতাকাতলে খেলেন দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কেলমেন্দি। চার বছর আগের সে আসর থেকে পদক ছাড়াই ফিরতে হয় তাকে।
 
পরের বছর এই রিও দে জেনেইরোতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের এই ইভেন্টে সোনা জেতেন। কসোভোর পতাকা হাতে সেটাই তার প্রথম কোনো পদক জয়। ২০১৪ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পরের আসরেও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখেন কেলমেন্দি। চোটের কারণে ২০১৫ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে পারেননি। অপেক্ষা ছিল অলিম্পিকে নিজের দেশের পতাকা ওড়ানোর।
 

শুক্রবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কসোভোর পতাকা ছিল কেলমেন্দির হাতেই। এরপর তো ইতিহাস গড়ে এই সোনা জয়।

ইতালির বাসিলের চমক

জুডোর পুরুষ ৬৬ কেজি ওজনশ্রেণিতে সবাইকে চমকে দিয়ে সোনা জিতেছেন র‌্যাংকিংয়ের ২৯তম ইতালির ফাবিও বাসিলে।

 

রিও গেমসের প্রথম দিনে শীর্ষ বাছাই ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার আন বাউলকে হারিয়েছেন তিনি।

জাপানের মাসাশি এবিনুমা ও উজবেকিস্তানের রিশোদ সোবিরোভ ব্রোঞ্জ জেতেন।