গত মাসের শেষ সপ্তাহে কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরের ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হেরে ২৩ বছরের শিরোপা খরা কাটোনোর স্বপ্ন ভাঙে আর্জেন্টিনার। দেশের হয়ে প্রথম কোনো সাফল্যের হাতছানির এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে চিলির বিপক্ষে সেদিন টাইব্রেকারের প্রথম শট নিয়ে ব্যর্থ হন মেসি। ম্যাচ শেষে হতাশাভরা কণ্ঠে দেশের হয়ে আর কখনও মাঠে না নামার সিদ্ধান্ত জানান।
গত সপ্তাহে মেসির জীবনে যোগ হয় আরেকটি ধাক্কা; কর ফাঁকির অভিযোগে তাকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেয় স্পেনের একটি আদালত। অবশ্য স্পেনের আইন অনুযায়ী, সহিংস অপরাধ না করলে দুই বছরের নিচে সাজার ক্ষেত্রে কারাবাস হয় না। তবে জরিমানার শাস্তি থেকে রেহাই নেই; আদালত মেসিকে ২০ লাখ ইউরো ও তার বাবাকে ১৫ লাখ ইউরো জরিমানা করেছে।
কর ফাঁকির মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ও সাজা পাওয়ায় অনেকেই মনে করছিলেন, বার্সেলোনা ছেড়ে হয়তো চলে যাবেন মেসি। শঙ্কা প্রকাশ করাদের দলে আছেন লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাসও। তবে বার্সেলোনার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রবের্ত ফের্নান্দেস ও কাম্প নউয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা এ বিষয়ে মোটেও চিন্তিত নন।
এ প্রসঙ্গে ফের্নান্দেস জানান, “বার্সায় মেসিকে নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। এখন তাকে আমরা অনুশীলনে ফিরে পেতে চাই।”
“মেসির সঙ্গে এখনও আমি কথা বলিনি কারণ সে ছুটিতে আছে এবং তাকে বিশ্রাম নিতে হবে।”