গত মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে আসেন সেইন্টফিট। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি বলেছিলেন, স্বল্পমেয়াদে দায়িত্ব নিতে আগ্রহী তিনি। বাফুফের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের ভুটানের বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা।
সে অনুযায়ী দায়িত্ব বুঝে নিতে মঙ্গলবার ঢাকায় পা রাখার কথা সেইন্টফিটের। বাফুফের ন্যাশনাল কমিটিও চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারতে তৈরি। কিন্তু তিনি নাইজেরিয়ার সম্ভাব্য কোচের জন্য তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকায় কিছুটা হলেও চিন্তিত বাফুফে। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ সেইন্টফিটকে পাওয়া নিয়ে আশাবাদী হলেও অনিশ্চয়তা কথা অস্বীকার করেননি পুরোপুরি।
“তিনি আজ রওনা দিয়েছেন; সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কাল ঢাকায় পৌঁছাবেন এবং এর পরই তার সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার প্রতি নাইজেরিয়া ফুটবল দলের আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত আছি।”
“এ বিষয়ে ন্যাশনাল টিমস কমিটি তার অবস্থান জানতে যোগাযোগ করেছে। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরে অনেক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং সে কারণেই এগুলো হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহী। এরই মধ্যে আমরা তাকে চুক্তির খসড়া পাঠিয়ে দিয়েছি। সে আসার পর আলাপ-আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে পর্বে ওঠার প্লে-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ও ১১ অক্টোবর ভুটানের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে সেইন্টফিটের অধীনে সপ্তাহখানেকের জন্য ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা।
চুক্তির মেয়াদের ব্যাপারে বাফুফে সেই আগের অবস্থানেই আছে। এমনকি সেইন্টফিটের কাছ থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় পরিস্থিতি বুঝে বিকল্পটা ভেবে রাখার কথাও বলেছেন সাধারণ সম্পাদক।
“সেইন্টফিট তার চূড়ান্ত অবস্থানটা বাংলাদেশে এসে বলবেন। চুক্তিটা আপাতত তিন মাসের জন্য হবে। চুক্তির হওয়ার পর আমরা তার সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে যাব।”
“সে নিজের ভালোটা দেখবে। আমরাও আমাদেরটা দেখব। উভয় পক্ষ খোলাখুলি আলোচনা করব। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা দ্বিতীয় অপসনের কথাও মাথায় রাখছে বাফুফে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা তাকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।”