টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেলেও লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে অনেকটাই এগিয়ে আছে বায়ার্ন মিউনিখ।
Published : 16 Mar 2025, 04:21 PM
জয়ের পথে ফেরার সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ফল পক্ষে না আসায় স্বাভাবিকভাবেই খারাপ লাগছে বায়ার্ন মিউনিখের সবার। তবে, ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষে দলের পারফরম্যান্সে অসন্তোষ নেই দলটির কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির।
বুন্ডেসলিগায় গত সপ্তাহে বোহমের বিপক্ষে ঘরের মাঠে শুরুতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও হেরে যায় বায়ার্ন। সেই ধাক্কা সামলে জয়ের পথে ফেরার অভিযানে বার্লিনের বিপক্ষে পজেশন রাখায় ও আক্রমণে আধিপত্য করেও পয়েন্ট হারিয়েছে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা।
বার্লিনের মাঠে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর জার্মান ফরোয়ার্ড লেরয় সানের লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। আট মিনিট পরই সেটা শোধ করে দেন আরেক জার্মান ফরোয়ার্ড বেনেডিক্ট হলারবাখ। পরে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার অনেক সময় থাকলেও, পুরো ম্যাচের মতোই প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণে ভেস্তে যায় বায়ার্নের আক্রমণগুলো। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ ড্র।
ম্যাচ শেষে কোম্পানির কণ্ঠে পুর্ণ পয়েন্ট না পাওয়ার হতাশা থাকলেও, তার মাত্রা খুব বেশি ছিল না। কারণ অবশ্যই দলের পারফরম্যান্স।
“আমাদের কাছে এই ম্যাচের দুটি গল্প, পারফরম্যান্স ও ম্যাচের ফল। অবশ্যই দিনশেষে তিন পয়েন্ট না পেলে আমরা হতাশ হই। খুব সহজ ব্যাপার।”
“তবে, আমি অনেক দিন ধরে ফুটবলে আছি এবং এর ফলে জানি যে, অ্যাওয়ে ম্যাচে এমন পারফরম্যান্ম মোটেও খারাপ নয়। ম্যাচে দীর্ঘ সময় ধরে আমরা কোনোরকম বিপদকে দূরে রাখতে পেরেছিলাম… শেষ পর্যন্ত কৃতিত্ব প্রতিপক্ষকে দিতে হবে কারণ তারা লড়াই করেছে। মাঝেমধ্যে দল যখন গোল না পায়, তখন সেটা কেবল স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা হয় না। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ, গোলরক্ষকদের কারণেও হয়, অনেক কিছু তারা ঠিকঠাকভাবে করে। তারা (এখানে বার্লিন) এটাই করেছে।”
ম্যাচে ৮০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে বায়ার্ন ১৮টি শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে, যেখানে স্বাগতিকদের সাত শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল। এছাড়া মোট ১৪টি কর্নারও পায় বায়ার্ন, প্রতিপক্ষের চেয়ে ১২টি বেশি। কিন্তু বেশিরভাগ থেকে প্রতিপক্ষকে পরীক্ষায় ফেলার মতোও কিছু করতে পারেনি।
অবশ্য টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেলেও লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে অনেকটাই এগিয়ে আছে বায়ার্ন মিউনিখ। ২৬ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার লেভারকুজেন।