চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
একটা সময়ে গিয়ে খেলোয়াড়দের সামনে আর কোনো বিকল্প থাকবে না, বলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রি।
Published : 17 Sep 2024, 08:53 PM
ফুটবল পঞ্জিকা নিয়ে খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচরা অভিযোগ তুলছিলেন কয়েক বছর ধরেই। বর্ধিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপের সঙ্গে ঠাসা সূচি নিয়ে গত কিছু দিন ধরে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করছেন খেলোয়াড়রা। এবার ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রি একরকম হুমকিই দিলেন। বললেন, ম্যাচ বাড়ানোর প্রতিবাদে ধর্মঘটে যেতে প্রস্তুত ফুটবলাররা।
গত মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে মোট ৬৩ ম্যাচ খেলেন রদ্রি। ইউরোপিয়ান ফুটবলে ২০২৩-২৪ মৌসুম শেষ হয় ১৪ জুলাই ইউরোর ফাইনাল দিয়ে। যেখানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রদ্রির স্পেন।
এই মৌসুমে আরও বেশি ম্যাচ খেলতে হবে তাকে। নতুন আঙ্গিকের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পাশাপাশি আগামী জুনে ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপেও খেলবে সিটি।
আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বে ম্যাচ খেলতে হতো ৬টি। এখন নেই গ্রুপ পর্ব, রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রথম রাউন্ডে প্রতিটা দল খেলবে ৮টি করে ম্যাচ। শেষ ষোলোর আগে খেলা লাগতে পারে দুই লেগের প্লে-অফও।
গত ডিসেম্বরে ক্লাব বিশ্বকাপ জিততে সিটিকে খেলতে হয় মাত্র ২টি ম্যাচ (সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল)। আগামী বছরের ক্লাব বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে তাদের খেলতে হবে ৩টি ম্যাচ, শিরোপা জিততে হলে নকআউট পর্বে খেলতে হবে আরও ৪ ম্যাচ।
সিটির ডিফেন্ডার মানুয়েল আকঞ্জি একটু মজা করে বলেছেন, এভাবে ম্যাচের সংখ্যা বাড়তে থাকলে হয়তো ৩০ বছর বয়সেই বুট জোড়া তুলতে রাখতে বাধ্য হবেন তিনি। ঠাসা সূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দলটির কেভিন ডে ব্রুইনে ও বের্নার্দো সিলভাও। লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন কোনো রাখঢাক না রেখে বলেছেন, সূচি প্রণয়ন করতে গিয়ে খেলোয়াড়দের কথা ভাবেনি কর্তৃপক্ষ।
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শুরু করবে সিটি। তার আগে রদ্রির কাছে জিজ্ঞেস করা হয়, ঠাসা সূচি নিয়ে খেলোয়াড়রা ধর্মঘটে যেতে পারে কি-না। ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার তুলে ধরেন তাদের ভাবনা।
“আমি মনে করি আমরা (ধর্মঘটে যাওয়ার) কাছাকাছি আছি। এটা বোঝা সহজ, যেকোনো খেলোয়াড়কে জিজ্ঞেস করুন, সবাই একই কথা বলবে। আর যদি এভাবেই চলতে থাকে, একটা সময় এমন মুহূর্ত আসবে যখন আমাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না। তবে দেখা যাক, কী হয়।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া শীর্ষ খেলোয়াড়দের এই মৌসুমে ৮৫ ম্যাচ খেলতে হতে পারে। ২০১৯ সালে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে প্রতি মৌসুমে গড়ে ৫০ এর বেশি ম্যাচ খেলেছেন রদ্রি। সংখ্যাটা এখনই অনেক বেশি মনে হচ্ছে তার কাছে।
“আমার কাছে সঠিক সংখ্যা নেই। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, (প্রতি মৌসুমে) ৬০-৭০ ম্যাচ? না। ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে ম্যাচে একজন খেলোয়াড় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারে। এরপর তা ধরে রাখা অসম্ভব।”
“এই মৌসুমে আমাদের ৭০ ম্যাচ খেলতে হতে পারে, হয়তো ৮০, ঠিক জানি না। নির্ভর করছে প্রতিযোগিতায় কতদূর যাব, সেটার ওপর। আমার বিনীত মতামত, সংখ্যাটা অনেক বেশি।”