নিজেকে কাঠগড়ায় তুলতে আপত্তি নেই রেয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকার।
Published : 20 Mar 2025, 02:05 PM
নিজেকে কাঠগড়ায় তুলতে কোনো আপত্তি নেই কিলিয়ান এমবাপের। নিজের ভুল মেনে নিতেও সমস্যা নেই তার। ফ্রান্সের অধিনায়ক হিসেবে ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করার দায় মাথা পেতে নিচ্ছেন এই ফরোয়ার্ড। সামনে পথচলায় ভুলের পুনরাবৃত্তি আর করতে চান না ২৬ বছর বয়সী তারকা।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার নেশন্স লিগের ম্যাচ দিয়ে ফ্রান্সের জার্সিতে আবার মাঠে নামছেন এমবাপে। সবশেষ তিনি জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন গত ৬ সেপ্টেম্বর। ইতালির বিপক্ষে সেই ম্যাচে প্যারিসে ৩-১ গোলে হেরে গিয়েছিল ফরাসিরা।
রেয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমানোর পর পুরোনো ক্লাব পিএসজির মাঠে সেটিই ছিল তার প্রথম ফেরা। তাকে ঘিরে তখন পরিস্থিতি ছিল বেশ উত্তপ্ত। তার নিজের ফর্মও তখন খুব একটা সুবিধার ছিল না। ইতালির বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তার কিছু কথা নিয়েও তখন বিতর্ক জমেছিল তুমুল। ‘লোকের মতামতের গুরুত্ব আমার কাছে সামান্যই’, এমন মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পিএসজির সমর্থকদের সম্ভাব্য বিরূপ আচরণ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আই ডোন্ট কেয়ার।’
তার সেসব মন্তব্য নিয়ে তখন সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। পরে নভেম্বরে নেশন্স লিগের দুই ম্যাচে তাকে দলে রাখেননি কোচ দিদিয়ে দেশম।
সামপ্রতিক সময়ে তিনি রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে দারুণ ফর্মে আছেন। পেছন ফিরে তাকিয়ে নিজের ভুলও তিনি বুঝতে পারছেন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন অকপটে মেনে নিলেন, ফ্রান্সের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পুরোপুরি সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি তিনি।
“এটুকু বোধ আমার আছে যে, কোন কাজগুলি ঠিক করেছি, কোনগুলো ভালো করিনি। জানি, মাঠের ভেতরে-বাইরে আমার অনেক কাজে লোকে খুশি ছিল না। আমিও তাদের প্রতি সুবিচার করিনি। নিজেকে প্রশ্ন করতে সমস্যা নেই আমার। সমালোচনা যদি প্রাপ্য ও সুবিবেচিত হয়, তাহলে কখনোই আমার কোনো আপত্তি ছিল না।”
“ইতালির বিপক্ষে ম্যাচে আমি ভালো খেলতে পারি এবং ম্যাচের আগে আমার সংবাদ সম্মেলনও অনেক মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। অধিনায়ক হিসেবে সবাইকে একতাবদ্ধ করতে পারিনি আমি। আমি তা মেনে নিচ্ছি। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সামনে এগিয়ে যাওয়া ও ভুলের পুনরাবৃত্তি না করা।”
৪৮ গোল করে ফ্রান্সের ইতিহাসের সফলতম গোল স্কোরার এমবাপে। তবে জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ১২ ম্যাচে তার গোল ২টি।
ফ্রান্সের অধিনায়কের দায়িত্বে তাকে রাখা হবে কি না বা তিনি নিজেও থাকতে চাইবেন কি না, এই সংশয় ছিল বেশ। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিই থাকছেন দায়িত্বে।