আন্তর্জাতিক ফুটবল
এক হাজার গোলের মাইলফলক ছোঁয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন বলে মনে হচ্ছে না পর্তুগিজ মহাতারকার।
Published : 14 Nov 2024, 12:05 AM
পেশাদার ফুটবলে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৯০০ গোল করা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর লক্ষ্য আরও বড়। পর্তুগিজ মহাতারকা পা রাখতে চান হাজার গোলে। তবে সেই স্বপ্নের পেছনে ছোটা এখন অনেক কঠিন মনে হচ্ছে তার।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে আছেন রোনালদো, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ৪০ বছর পূর্ণ হবে তার। অর্জনে ভরা এই পথচলায় অনেক রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন তিনি। পেশাদার ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটিও তার। এখন পর্যন্ত করেছেন ৯০৮টি গোল।
পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘কিনাস দে প্লাতিনা ট্রফি’ সম্প্রতি জেতেন রোনালদো। ওই অনুষ্ঠানেই পাঁচবারের ব্যালন দ’র জয়ী বলেন, হাজার গোল ছোঁয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন বলে মনে হচ্ছে না তার।
“জীবনটাকে এখন বর্তমানকে উপভোগ করার দিকে ঘুরিয়ে নিয়েছি। আর দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করতে পারছি না। এক হাজার গোলের মাইলফলকে পৌঁছাতে চাওয়ার যে কথা প্রকাশ্যে বলেছিলাম, সেটা নিয়ে আর ভাবছি না। তবে এখন সবকিছু সহজ মনে হচ্ছে, গত মাসেই তো আমি ৯০০ গোলে পৌঁছেছি।”
“এখন সময়টা বর্তমানে বাঁচার, মুহুর্তগুলো উপভোগ করার, আগামী কয়েক বছরে আমার পা কেমন সাড়া দেয় সেটা দেখার। এক হাজার গোল করতে পারা হবে দারুণ। তবে সেটা যদি নাও হয়, আমি এরই মধ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গোল করা খেলোয়াড়।”
ইউরোপের ফুটবল রাঙিয়ে এখন সৌদি ফুটবলে খেলছেন রোনালদো। সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাস্রের সঙ্গে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে তার।
এখন জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন রোনালদো। নেশন্স লিগে আগামী শুক্রবার পোল্যান্ড ও দুই দিন পর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলবে পর্তুগাল।
২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রাখা রোনালদো দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২১৬ ম্যাচ, গোল করেছেন ১৩৩টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুটিই রেকর্ড। দেশের হয়ে তার সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৬ ইউরো জয়। এখনও অবশ্য বিশ্বকাপে চুমু আঁকতে পারেননি তিনি।
অধরা স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা, সেটা স্পষ্ট করেননি রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারা তার কাছে সব সময়ই বড় সম্মানের।
“১৮ বছর বয়সে যখন জাতীয় দলে যোগ দিই, তখন আমার স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম ম্যাচটি খেলা। এরপর আমি ২৫ ম্যাচ, পরে ৫০ ম্যাচে পৌঁছাই, এটা ছিল একটা মাইলফলক, যা সব খেলোয়াড়ই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখে। তখন নিজেকে বলেছিলাম, ‘১০০ কেন নয়?’ এরপর ভাবনা আসে, কেন ১৫০ বা ২০০ নয়? আমার জন্য এটা দারুণ অনুভূতি।”
“এতগুলো ট্রফি জয়ের পরও জাতীয় দলের হয়ে খেলার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছুতে মনে হয় না। সময়টা খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। এ কারণে আমি কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে হতাশ, যারা পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করতে চায় না।”