বয়স কোনো বিষয় নয় কেইনের কাছে, লক্ষ্য ২০২৮ ইউরো

নিজেদের মাঠে ২০২৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নপিশে খেলার ভাবনা এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডকে এখনই পেয়ে বসেছে!

জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনে হ্যারি কেইন। ছবি: রয়টার্স

ফুটবলারদের বয়স ৩০ হলেই উঠতে শুরু করে শেষের গুঞ্জন। আর কত দিন?-এমন প্রশ্ন আসতে থাকে চারদিক থেকে। হ্যারি কেইন অবশ্য এসব একদমই কানে তুলতে চান না। ২০২৮ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ অনেক দূরের বাতিঘর হলেও ৩০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড পাখির চোখ করেছেন ওই আসরকেই।

২০২৮ সালের ইউরোর আয়োজক হিসেবে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের নাম ঘোষণার পর কেইন জানান নিজের ভাবনা। ঘরের মাঠে দেশের ইউরোপের সেরার মুকুট জয়ের মিশনে অবদান রাখতে চান তিনি।

পাঁচ বছর পর কেইনের বয়স হবে ৩৫ বছর। বলা যায় পড়ন্ত বেলা। তবে বিষয়গুলো এভাবে ভাবতে চান না ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা। কেননা, বয়স তার কাছে কোনো বিষয়ই নয়। বরং ২০২৮ ইউরো জিততে পারলে তা স্বপ্ন পূরণের মতো বিষয় হবে বলে মনে করেন তিনি।

“ক্রীড়াঙ্গনে বা ফুটবলে একটা প্রচলিত ধারণা হচ্ছে যখন আপনার বয়স ৩০ হবে, লোকে আপনার শেষটা ভাবতে শুরু করবে। কিন্তু আমি যে দৃষ্টিতে এই বিষয়গুলো দেখি, সেটা হচ্ছে, আমার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধের প্রায় সবটুকু এখনও বাকি আছি।”

“রিকভারি, ক্রীড়া বিজ্ঞান এবং যেভাবে এই খেলাটি মানিয়ে নিয়ে চলছে, এগুলো খেলোয়াড়দের আরও বেশি সময় খেলার সুযোগ করে দিচ্ছে।”

নিজের কথার পেছনে যুক্তি হিসেবে চল্লিশের পথে ছোটা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর এখনও শীর্ষ পর্যায়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার উদাহরণ টেনেছেন কেইন।

“যখন আপনি শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়দের দেখবেন-রোনালদো, মেসি, (রবের্ত) লেভানদোভস্কি, (জ্লাতান) ইব্রাহিমোভিচ- বলা যায় তিরিশ ছুঁয়েই তারা আরও ভালো পারফর্ম করেছে।”

“এই বয়সে সম্ভবত ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, সন্তান নিয়ে জীবনে সবাই একটা স্থিতিশীল অবস্থায় আসে। জীবনের এই পর্যায়ে, শারীরিক ও মানসিকভাবে আপনি সাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করবেন; আর এটাই আপনাকে ফুটবলে আরও মনোনিবেশ করতে দিবে।”