চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার হারের ম্যাচ থেকেও ইতিবাচক অনেক কিছু খুঁজে পেয়েছেন কোচ হান্সি ফ্লিক।
Published : 20 Sep 2024, 10:22 AM
সুখের প্রহরে হঠাৎ দুঃখের হানা। নতুন কোচ নিয়ে মৌসুমের শুরুটা এবার দারুণ করেছে বার্সেলোনা। কিন্তু লা লিগায় টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পাওয়া দল হোঁচট খেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুতেই। নতুন পথচলার শুরুতে কোচ হান্সি ফ্লিকের এমন এক অভিজ্ঞতা হলো, ক্যারিয়ারে আগে কখনোই যে তেতো স্বাদ তিনি পাননি। তবে দমে যাচ্ছেন না ফ্লিক। বরং দলকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী বার্সেলোনা কোচ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বৃহস্পতিবার মোনাকোর কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় বার্সেলোনা।
ম্যাচের শুরুটাই তাদের জন্য ছিল বিভীষিকার। গোলকিপার মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের ভুল শোধরানোর চেষ্টায় একাদশ মিনিটেই লাল কার্ড পান ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া। এর মিনিট পাঁচেক পর এগিয়ে যায় মোনাকো।
লামিনে ইয়ামাল যদিও দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরান দলকে প্রথমার্ধেই। তবে দ্বিতীয়ার্ধের গোলে জয় পায় মোনাকো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে মোনাকোর প্রথম জয় এটি। ইউরোপ-সেরার আসরে প্রথম পর্বে কোচ হিসেবে ফ্লিকের এটি প্রথম পরাজয়।
হারের কারণ হিসেবে লাল কার্ডের কথা অনুমিতভাবেই বললেন ফ্লিক। পাশাপাশি পরাজয়েও প্রাপ্তি পাচ্ছেন কোচ।
“গার্সিয়ার লাল কার্ড দিয়ে গোটা ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। ১১ মিনিটেই কেউ লাল কার্ড পেলে অনেক পরিকল্পনায় বদল আসে। তবে ইতিবাচক অনেক কিছুই দেখতে পাচ্ছি ম্যাচে। আমরা দল হিসেব রক্ষণ সামলেছি ও আক্রমণ করেছি। আমাদেরও সুযোগ এসেছে। তবে জয়টা তাদের প্রাপ্য।”
একজন কম নিয়েও দল যেভাবে লড়েছে, সেটির প্রশংসা করছেন ফ্লিক। এই ধাক্কা সামলে ওঠার প্রত্যয়ও জানালেন তিনি।
“আমাদের দলে এমন ছেলেরা আছে, যারা শতভাগের বেশি দিয়ে চেষ্টা করে। সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছে।”
“এই দল নিয়ে আমি গর্বিত ও এই ছেলেদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি। এই হারকে মেনে নিতে হবে আমাদের। তবে এখনও সাতটি ম্যাচ বাকি আছে। নিশ্চিতভাবেই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার পরের প্রতিপক্ষ তুলনামূলক সহজ-সুইজারল্যান্ডের ক্লাব ইয়াং বয়েজ। তবে এর আগে লা লিগায় মাঠে নামতে হবে তাদের। ফ্লিক আপাতত তাকিয়ে সেই ম্যাচেই।
“আমি ছেলেদেরকে বলেছি মাথা উঁচু রাখতে, কারণ ওরা হতাশ হয়েছে। আমাদেরকে এখন রোববারের ম্যাচে মনোযোগ দিতে হবে (লা লিগায়), আমাদের পরের ম্যাচ যেটি। এখন সময় চনমনে হয়ে ওঠার, আশা করি পুরো প্রাণশক্তি নিয়ে ফিরবে ছেলেরা।”