গেতাফেকে উড়িয়ে দুইয়ে বার্সা

আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে সহজ জয় পেয়েছে শাভি এর্নান্দেসের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2024, 05:21 PM
Updated : 24 Feb 2024, 05:21 PM

রাফিনিয়া গোল করলেন, করালেনও। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সের দিনে দলগত দ্যুতি ছড়াল বার্সেলোনা, খেলল প্রায় নিখুঁত এক ম্যাচ। গেতাফেকে সহজেই হারিয়ে দুই নম্বরে উঠল শাভি এর্নান্দেসের দল। 

ঘরের মাঠে শনিবার লা লিগার ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে রাফিনিয়া স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়িয়েছেন জোয়াও ফেলিক্স, ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও ফেরমিন লোপেস।   

নাপোলির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে দারুণ শুরুর পর ক্রমেই বর্ণ হারিয়ে ড্র করে বার্সেলোনা। গেতাফের বিপক্ষে পুরোটা সময়ই আধিপত্য করল তারা। 

একটু ঢিমে তালে শুরু হওয়া ম‍্যাচে অষ্টম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় বার্সেলোনা। ইলকাই গিনদোয়ানের কর্নারে ফ্লিক লক্ষ‍্যে রাখতে পারেননি রাফিনিয়া। 

১২ মিনিট পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডই এগিয়ে নেন দলকে। নিজেদের অর্ধ থেকে জুল কুন্দের বাড়ানো বল ধরে দারুণ গতিতে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। পাশেই সমান তালে এগিয়ে সুবিধাজনক জায়গায় চলে যান জোয়াও ফেলিক্স। দুই ফরোয়ার্ডের কাকে ঠেকাবেন তা দিয়ে যেন দ্বিধায় ছিলেন গেতাফে গোলরক্ষক দাভিদ সোরিয়া। এই সুযোগে তার পাশ দিয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন রাফিনিয়া। 

২৭তম মিনিটে দ্বিগুণ হতে পারত ব‍্যবধান। একটি ক্রসে একটুর জন‍্য হেড করতে পারেননি গিনদোয়ান। বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন গেতাফে ডিফেন্ডার হুয়ান ইগলেসিয়াস। 

৩৬তম মিনিটে গোলের চমৎকার সুযোগ হাতছাড়া করেন ফেলিক্স। খুব কাছ থেকে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের শট দারুণ রিফ্লেক্সে পা দিয়ে ঠেকান সোরিয়া। দুই মিনিট পর ফেলিক্সের আরেক শট লক্ষ‍্যেই ছিল, এবার দ্বিতীয় চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে নেন সফরকারী গোলরক্ষক। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জালের দেখা পেয়ে যান ফেলিক্স। ৫৩তম মিনিটে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের চমৎকার ক্রসে আলতো টোকায় ব‍্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। 

৬১তম মিনিটে স্কোর লাইন ৩-০ করে ফেলেন ডি ইয়ং। এই গোলে দারুণ অবদান রাফিনিয়ার। সতীর্থর পাস ধরে পায়ের কারিকুরিতে গোলরক্ষককে এড়িয়ে তিনি কাট ব‍্যাক করেন অরক্ষিত ডি ইয়ংকে। ঠাণ্ডা মাথার শটে জাল খুঁজে নেন ডাচ মিডফিল্ডার। গোললাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চেষ্টা করেছিলেন সফরকারীদের একজন, কিন্তু বলের নাগাল পাননি তিনি। 

জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে মাঝেমধ্যে আক্রমণে উঠতে থাকে বার্সেলোনা। ৭৫তম মিনিটে রাফিনিয়ার পাস ধরে বক্সের ঠিক উপর থেকে শরীর ঘুরিয়ে নেওয়া লোপেসের শট যায় গোলরক্ষক বরাবর। 

পাঁচ মিনিট পর বক্সের ভেতরে বল পেয়ে জোয়াও কানসেলো কিছুটা জায়গা করে নিয়ে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু বল এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে উড়ে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। 

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন লোপেস। ডি ইয়ং থ্রু পাস বাড়িয়ে বেঁধে দেন আক্রমণের সুর। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ভিতো হকের শট কোনোমতে ফেরান গোলরক্ষক। আলগা বল চলে যায় বিপরীত দিকে থাকা লোপেসের পায়ে; অনায়াসে বাকি কাজটুকু সারেন তিনি। 

২৬ ম‍্যাচে ১৭ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। 

২৫ ম‍্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে জিরোনা। সমান ম‍্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় রেয়াল মাদ্রিদ।