আন্তর্জাতিক ফুটবল
ফুটবলীয় কারণে আশপাশের মানুষের মন্তব্যে তীব্র হতাশা ও প্যানিক অ্যটাকে আক্রান্ত হয়ে বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বের হতেও বিব্রতবোধ করতেন আলভারো মোরাতা।
Published : 10 Oct 2024, 09:46 PM
স্পেনের হয়ে ইউরো জেতা অধিনায়কদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় সবশেষ সংযোজন আলভারো মোরাতা। তার নেতৃত্বে সবশেষ ইউরোর ট্রফি ঘরে তোলে স্পেন। অথচ টুর্নামেন্ট শুরুর আগের সময়টা মোরাতার জন্য যেন ছিল বিভীষিকাময়। উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচের আগে ভীষণ কঠিন সেই সময়ের কথা তুলে ধরলেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড।
ঘরের মাঠে রোববার নেশন্স লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে স্পেন। এরপর তাদের প্রতিপক্ষ সার্বিয়া। দুই ম্যাচের স্কোয়াডেই আছেন মোরাতা।
আন্তর্জাতিক বিরতিতে জাতীয় দলে যোগ দিয়ে একটি রেডিও অনুষ্ঠানে ইউরো শুরুর আগে তীব্র হতাশাময় সময় কাটানোর কথা জানান ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। আন্তর্জাতিক ফুটবল ছাড়ার কথা ভাবার পেছনে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হওয়ার কথা বলেন তিনি।
“আপনি যখন সত্যিকারের কঠিন সময়ের মধ্যে থাকেন, আপনি কী কাজ করেন, তা আর কোনো ব্যাপার থাকে না। জীবনে কোন পরিস্থিতিতে আছেন, কী করছেন সেগুলোর আর কোনো অর্থ থাকে না।”
“আপনার ভেতরে আরও একটি সত্ত্বা থাকে। আপনাকে প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত এর বিরুদ্ধে লড়তে হয়। আমার জন্য স্পেন ছেড়ে যাওয়াই তখন সর্বোৎকৃষ্ট ছিল। যখন আমি আর পারছিলাম না, তখনই মুহূর্তটি আসে।”
গত জুনে ইউরো শুরুর আগে মোরাতা বলেছিলেন, স্পেন ছেড়ে অন্য কোথাও থিতু হওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। এমনকি স্পেনের হয়ে আর কখনও না খেলার কথাও চিন্তা করছিলেন পরে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ফরোয়ার্ড।
এরপর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে স্পেনের চতুর্থ ইউরো জয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার চার দিনের মধ্যে দেশের ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদ ছেড়ে ইতালির এসি মিলানে নাম লেখান মোরাতা। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনের ভাবনা এবার জানালেন তিনি।
“খুবই বাজে সময় যাচ্ছিল আমার। এমন মুহূর্ত চলে এসেছিল যে, আমার মনে হচ্ছিল আর হয়তো বুট পায়ে দেওয়া হবে না। ইউরো শুরুর তিন মাস আগে ভাবছিলাম, আবার স্পেনের জার্সি পরতে পারব তো আমি? অধিনায়কত্ব করতে পারব তো! আমি ভাবছিলাম আর খেলতে পারব কিনা।”
হতাশাগ্রস্ত ওই সময়ে বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বের হতেও দ্বিধায় ভুগতেন মোরাতা।
“আমি জানি না, আমার সঙ্গে কী হচ্ছিল। বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে, রাস্তায় বের হতে বিব্রতবোধ করছিলাম। তাদের সঙ্গে যখনই বের হচ্ছিলাম, কিছু না কিছু হচ্ছিল। মানুষজন ফুটবল নিয়ে প্রশ্ন করত, আগের ম্যাচের কোনো ঘটনা নিয়ে কথা বলত।”
“শেষ দিকে আমার বাচ্চারা সুপার মার্কেটেও যেতে চাইত না। মানুষজন আমাকে এত কিছু বলছিল যে তাদের (বাচ্চা) সঙ্গে বাইরে থাকাও আমার জন্য বিব্রতকর হয়ে উঠেছিল।”