বুন্ডেসলিগা
ভলফসবুর্কের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-২ গোলে জিতেছে বুন্ডেসলিগার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা।
Published : 18 Jan 2025, 10:48 PM
ঘরের মাঠে ম্যাচজুড়ে আক্রমণে আধিপত্য করল বায়ার্ন মিউনিখ। তাদের দাপটের মাঝেও দুটি গোল আদায় করে নেয় ভলফসবুর্ক। তবে শেষ পর্যন্ত দারুণ এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল ভিনসেন্ট কোম্পানির দল। বুন্ডেসলিগায় শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল তারা।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার লিগ ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। স্বাগতিকদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন লেয়ন গোরেটস্কা, আরেকটি ওলিসে। আর ভলফসবুর্কের দুটি গোলই করেছেন মোহামেদ আমোরা।
এই নিয়ে লিগে টানা ৪ ম্যাচ জিতল বায়ার্ন। ১৮ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শিরোপাধারী বায়ার লেভারকুজেন।
আর ১৮ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে ভলফসবুর্ক।
ম্যাচের শুরু থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতি ছড়াতে থাকে বায়ার্ন। তৃতীয় মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া লেরয় সানের শট গোলবারে আঘাত করে।
সপ্তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় তারা। হ্যারি কেইনের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন কিংসলে কোমান। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি তিনি। ফরাসি ফরোয়ার্ডের নিচু শট ঠেকিয়ে দেন ভলফসবুর্কের গোলরক্ষক।
গোলের দেখা পেতে অবশ্য দেরি হয়নি বায়ার্নের। ১৯তম মিনিটে দলকে উল্লাসে মাতান গোরেটস্কা। সতীর্থ পাস পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান জার্মান মিডফিল্ডার।
সমতা ফেরাতে একদমই দেরি করেনি ভলফসবুর্ক। ২৪তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে সতীর্থের পাসে বক্সে বল পেয়ে যান আমোরা। ঠাণ্ডা মাথার নিখুঁত শটে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করে আলজেরিয়ান স্ট্রাইকার খুঁজে নেন ঠিকানা।
কিছুক্ষণ পর ফের এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৩৯তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন ওলিসে। গোলরক্ষকের হাতে লেগেও জালে জড়ায় বল।
৪২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুল পাসে বক্সে বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি কেইন। কিছুটা দেরি করায় শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসা ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায় তার শট।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আরেকটি গোল করেন জশুয়া কিমিচ। কিন্তু ভিএআর তার গোলটি বাতিল করে দেয় হ্যান্ডবল হওয়ায়। কোমানের ক্রস থেকে হেড দেওয়ার সময় বল হাতে লেগেছিল কিমিচের। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বায়ার্ন।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে দাপট ধরে রাখে বায়ার্ন। ৫০তম মিনিটে কোমানের ক্রস থেকে ফাঁকায় পেয়েও হেডে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সানে।
৬২তম মিনিটে ব্যবধানে দ্বিগুণ করেন গোরেটস্কা। ওলিসের চমৎকার ফ্রি কিক থেকে হেডে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। চলতি মৌসুমে লিগে এটি তার তৃতীয় গোল, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চতুর্থ।
আট মিনিট পর কোমান নষ্ট করেন সুবর্ণ সুযোগ। নয়ারের উড়িয়ে মারা বল প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের সামনে পেয়ে যান তিনি। গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শট।
নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে ব্যবধান কমান আমোরা। সতীর্থের পাস ধরে বক্সে ঢুকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি।