ঠিকঠাক এগিয়ে যেতে পারলে মুসিয়ালা একদিন আকাশ ছুঁবেন বলে মনে করেন এই মিডফিল্ডার।
Published : 10 Apr 2023, 10:44 PM
বয়স মাত্র ২০, তবে জামাল মুসিয়ালার খেলায় স্কিল ও পরিণতবোধের ছাপ ষ্পষ্ট। সব দিক থেকে এত অল্প বয়সে মুসিয়ালা এতটাই দারুণ যে, তার খেলায় মুগ্ধ লেয়ন গোরেটস্কাও। এই মিডফিল্ডারের দৃষ্টিতে তার ক্লাব ও জাতীয় দলের সতীর্থ জার্মানির ইতিহাসের সেরা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের একজন।
চলতি মৌসুমে বায়ার্নের হয়ে বুন্ডেসলিগায় এখন পর্যন্ত ১১টি গোল করেছেন মুসিয়ালা। দলটির পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকায় রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কাতার বিশ্বকাপ জার্মানির জন্য হতাশাজনক হলেও ঠিকই আলো ছড়ান মুসিয়ালা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে আগামী মঙ্গলবার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলবে বায়ার্ন। এই ম্যাচের আগে উয়েফা ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুসিয়ালার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন গোরেটস্কা।
খুব কাছ থেকে মুসিয়ালাকে দেখার অভিজ্ঞতায় তাকে নিয়ে গোরেটস্কার প্রত্যাশাও অনেক। অভিজ্ঞ এই ফুটবলার মনে করেন, উন্নতির ধারা বজায় রাখতে পারলে সেরাদের কাতারে যাবেন মুসিয়ালা।
“জামাল সম্ভবত জার্মানির ইতিহাসে সেরা প্রতিভাবান খেলোয়াড় হতে পারে, কারণ সে এরই মধ্যে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে সক্ষম হয়েছে। তার খুব বেশি উত্থান ও পতন নেই। প্রতি সপ্তাহে তার আমাদের শুরুর একাদশে থাকা সেটাই প্রমাণ করে। সে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করছে।”
“অল্প জায়গাতেও সে বল নিয়ে খুব ভালো এবং (প্রতিপক্ষের জন্য) অনেক বিপদ তৈরি করে। তার অসাধারণ গুণ রয়েছে। সে যদি এভাবে কাজ চালিয়ে যায় এবং ফিট থাকে, তাহলে আকাশ হবে তার সীমানা।”
বয়সে মুসিয়ালার চেয়ে আট বছরের বড় গোরেটস্কা। মাঠের অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে তিনি। সামনের দিনগুলোতে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মুসিয়ালাকে যথাসাধ্য সাহায্য করতে চান গোরেটস্কা।
“তরুণ খেলোয়াড়দের সাহায্য করা এবং তাদের জন্য নিজেকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা আমার কাজ। আমি যখন বায়ার্নে এসেছিলাম, তখন ফ্রাঙ্ক রিবেরি ও আরিয়ান রবেনের মতো খেলোয়াড়রা আমাকে সাহায্য করেছিলেন।”
মাঠে ও মাঠের বাইরে সব জায়গায় খেলোয়াড় হিসেবে মুসিয়ালার বেড়ে ওঠায় দলের বাকিরাও অবদান রাখতে চান বলেও জানালেন গোরেটস্কা।
“বিষয়টিকে আমি আমার কাজ হিসেবে দেখি। আমি ওকে বলব না যে কীভাবে ড্রিবল করতে হয় বা প্রতিদিন কী করতে হয়, কারণ কী করতে হবে সেটা সে সবচেয়ে ভালো জানে। তবে আমি তাকে মাঠে সাহায্য করতে চাই বা যখন তার মনে কোনো প্রশ্ন জন্মাবে, তখন তার পাশে থাকতে চাই (উত্তর দিতে চাই)।”
“তাকে এমন পরিস্থিতিতে সাহায্য করতে চাই যেটা সম্পর্কে সে এখনও জানে না, যেমন সংবাদমাধ্যম সামলানোর ব্যাপারগুলো, যা ভবিষ্যতে তার জন্য প্রত্যাশিত। আমরা দলের সবাই তাকে সাহায্য করতে চাই।”
বায়ার্ন সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল ২০১৯-২০ মৌসুমে৷ ওই দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন গোরেটস্কার আশা, এই মৌসুমে আবার তারা ইউরোপ সেরা হবেন।