দুই বছর তদন্তের পর এই ঘোষণা দিয়েছে চাইনিজ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (সিএফএ)।
Published : 10 Sep 2024, 10:46 PM
চীনের ফুটবলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে দুর্নীতি। দীর্ঘ দুই বছর তদন্তের পর এবার বড় ধরনের শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে চাইনিজ ফুটবল অ্যাসসিয়েশন (সিএফএ)। জুয়া, ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের দায়ে ৪৩ জনকে ফুটবলে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আজীবন নিষেধাজ্ঞা পাওয়াদের মধ্যে ৩৮ জনই ফুটবলার, বাকি পাঁচজন ক্লাব কর্মকর্তা। চীনের সাবেক ফুটবলার জিন জিংদাও, কুও তিয়ানইয়ু, কু চাও এবং দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সন জুন-হো আছেন এই তালিকায়।
সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির খবর, জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ঝাং জিয়াওপেং মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তদন্তে ১২০টি ম্যাচ পাতানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং এতে জড়িত ছিল ৪১টি ফুটবল ক্লাব।
ঘুষ, জুয়া এবং অবৈধভাবে ক্যাসিনো খোলার জন্য ফৌজদারি শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে ৪৪ জনকে। আরও ১৭জনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সিএফএ প্রেসিডেন্ট সং কাই বলেন, ওই ৪৪ জনের ৪৩ জনকে ফুটবলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাজ থেকে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ১৭ জনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মঙ্গলবার সৌদি আরবের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে চীন। এদিন আসে দেশটির ফুটবলের সবচেয়ে বাজে খবরটি।
চীনের ফুটবল দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতিতে জর্জরিত। দলটির বাজে পারফরম্যান্সের পেছনে এটাকেই দায়ী করেন সমর্থকরা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।
জাতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের একজন সাবেক সহ-সভাপতিকে ঘুষ গ্রহণের জন্য গত অগাস্টে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই অপরাধে আরেকজন সাবেক পরিচালককে দেওয়া হয় সাত বছরের কারাদণ্ড। আর সিএফএ-এর সাবেক চেয়ারম্যানকে গত মার্চে আজীবনের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়।