বদলি নামার কথা শুনে হতাশ ভেহর্স্ট বদলি নেমেই জয়ের নায়ক

ভঠ ভেহর্স্টের মানসিকতার প্রশংসা করলেন নেদারল্যান্ডস কোচ রোনাল্ড কুমান।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে বেশিরভাগ ম্যাচেই বদলি হিসেবে নামানো হয় ভঠ ভেহর্স্টকে। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পোল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দিকে বদলি নেমেই গোল করে তিনি জেতান দলকে। কোচ রোনাল্ড কুমান জানালেন, আসর শুরুর আগে ভেহর্স্টকে এই ভূমিকার কথা জানানোর পর কিছুটা বিরক্ত হয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।

হামবুর্গে রোববার চলতি ইউরোয় নেদারল্যান্ডসের প্রথম ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের ৯ মিনিট বাকি থাকতে মেমফিস ডিপাইয়ের বদলি হিসেবে ভেহর্স্টকে মাঠে নামান কুমান। তখন ম্যাচে ১-১ সমতা। মাঠে নামার ১২০ সেকেন্ডের মধ্যে, বলে প্রথম স্পর্শেই জালে পাঠান ভেহর্স্ট। সেটিই গড়ে দেয় ব্যবধান। ২-১ গোলের জয়ে শুভসূচনা করে ডাচরা।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলে দলে তাদের ভূমিকার কথা জানিয়ে দেন কুমান। পোল্যান্ড ম্যাচ শেষে ৬১ বছর বয়সী এই কোচ জানালেন, শুরুতে বেঞ্চে থাকতে হবে জেনে নাখোশ ছিলেন ভেহর্স্ট।

“শুরুর একাদশে খেলার কিংবা দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামার সম্ভাবনা নিয়ে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ব্যাখ্যা করেছিলাম আমি। এতে তার মন খারাপ হয়েছিল। আমি মনে করি, তার প্রতিক্রিয়াটা ভালোই ছিল। ভেহর্স্ট হতাশ হয়েছিল এবং তারপর শুরুর লাইনআপে থাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। কোনো খেলোয়াড়ের দারুণ মানসিকতা এটা।”

শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধেই কোডি হাকপোর গোলে সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস। আক্রমণ ও বল দখলে আধিপত্য করলেও অনেক সুযোগ হারায় তারা। দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে তাই খুশি নন কুমান।

“বিরতির আগে স্কোরলাইন ৩-১ বা ৪-১ হওয়া উচিত ছিল। তার পর দেখেছেন, ম্যাচ কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আমি জানি না কতগুলো সুযোগ আমরা পেয়েছি।”

“আমাদের বেশ কিছু ভালো মুহূর্ত ছিল। কিন্তু উন্নতি করার অনেক জায়গা আছে, বিশেষ করে গতি কাজে লাগানোয়। ওদের বাম দিকে অনেক সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা বেশিরভাগই কাজে লাগাতে পারিনি।”

‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী শুক্রবার ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস।