আন্তর্জাতিক ফুটবল
লি কার্সলি মতে, ফুটবল বিশ্বের সেরা কোচদের একজন প্রাপ্য ইংল্যান্ড জাতীয় দলের।
Published : 13 Oct 2024, 05:29 PM
গ্যারেথ সাউথগেট চাকরি ছাড়ার পর থেকে নতুন কোচের খোঁজে আছে ইংল্যান্ড। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনকে ‘সৌভাগ্য’ মনে করলেও এই পদে পাকাপাকি থাকার ইচ্ছা বোধহয় নেই লি কার্সলির। তাই ইংল্যান্ডের স্থায়ী কোচ হতে আনুষ্ঠানিক কোনো আবেদন করেননি তিনি।
২০২১ সাল থেকে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন কার্সলি। তার কোচিংয়ে গত বছর ইউরোপিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে ইংলিশরা।
বয়সভিত্তিক দল পারলেও, ইংল্যান্ডের জাতীয় দল পারেনি টানা দুইবার ইউরোর ফাইনালে উঠে শিরোপা ঘরে তুলতে। ২০২৪ ইউরোর পর তাই প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান সাউথগেট। নতুন কোচের খোঁজে থাকা ইংল্যান্ড আপাতত কার্সলির কাঁধে দিয়েছে গুরুদায়িত্বটি।
৫০ বছর বয়সী কার্সলির কোচিংয়ে শুরুটা ভালোই হয় ইংল্যান্ডের। নেশন্স লিগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারায় তারা। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ওয়েম্বলিতে গ্রিসের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন কার্সলি ও তার দল।
জাতীয় দলের দায়িত্বে স্থায়ী হওয়া নিয়ে গত শনিবার টকস্পোর্ট-এ নিজের ভাবনা তুলে ধরেন কার্সলি।
“আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এর (স্থায়ী কোচের) জন্য আবেদন করিনি। কারণ, আমি অনূর্ধ্ব-২১ দলের সঙ্গে ছিলাম। সেখানে নিজের কাজ করতে পেরে আমি সত্যিই খুশি। তবে আমি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) একজন কর্মচারী এবং আমাকে সিনিয়র দলের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল, যা সৌভাগ্যের; এখন পর্যন্ত এটাই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত।”
“সিনিয়র দলকে পরিচালনার সুযোগ পেয়ে সত্যিই সম্মানিতবোধ করছি। সত্যিই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে নিজেকে। আমি (দলের) ভেতরে আছি এবং দেখতে পাচ্ছি যে, এই দলটি কতটা সম্ভাবনাময়।”
কার্সলির মতে, ফুটবল বিশ্বের সেরা কোচদের একজন প্রাপ্য ইংল্যান্ড জাতীয় দলের।
“সবসময় বলে আসছি, এটা (কোচিং করানো) বিশ্ব ফুটবলের সেরা কাজগুলোর একটি। এমন খুব বেশি চাকরি নেই যেখানে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যে কোচ আসবেন তার জয়ের সত্যিই ভালো সুযোগ রয়েছে এবং আমাদের সেরা কোচদের একজন প্রাপ্য।”
নেশন্স লিগে ‘বি’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইংল্যান্ড। আগামী রোববার ফিনল্যান্ডে খেলতে যাবে তারা।