ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
জার্মানির বর্তমান দলটিকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডার।
Published : 06 Jul 2024, 08:22 AM
শিরোপায় চোখ রেখে এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছিলেন টনি ক্রুস। অবসর ভেঙে জাতীয় দলেও ফিরেছিলেন তিনি একই লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু লক্ষ্য পূরণ হলো না। ঘরের মাঠের আসরে জার্মানির পথচলা থেমে গেল কোয়ার্টার-ফাইনালে। ইউরো জিততে না পারার আক্ষেপ নিয়ে বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি ঘটল ক্রুসের। বিদায়বেলায় এই তারকা বললেন, জার্মান ফুটবলে যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে, সেই পথ ধরে ঠিকই ট্রফি উঁচিয়ে ধরবে এই দল।
শেষ আটের লড়াইয়ে স্টুটগার্টে শুক্রবার অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে যায় জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর দারুণ খেলে ৮৯তম মিনিটে ফ্লোরিয়ান ভিরৎজের গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। পোস্ট বাধ হয়ে না দাঁড়ালে আগেই ম্যাচে ফিরতে পারত তারা। অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে দ্বিতীয় গোল হজম করে বিদায় নিতে হয় তাদের।
ম্যাচের পর ৩৪ বছর বয়সী ক্রুস বললেন, জয়ের চেষ্টায় কোনো কমতি রাখেননি তারা, এভাবে বিদায় নেওয়াটা তাই কষ্টের।
“আমি বলব না, সবচেয়ে নির্দয় ম্যাচ ছিল এটি, তবে এমন একটি ম্যাচ যেখানে আমরা সবকিছু ঢেলে দিয়েছি। আমরা হারতে চাইনি…আমরা বড় কিছু অর্জন করতে চেয়েছিলাম এবং সেই স্বপ্ন এখন শেষ হয়ে গেছে। আমরা বুঝতে পারব যে, টুর্নামেন্টে ভালো খেলেছি, কিন্তু পরের রাউন্ডে পৌঁছানোর এত কাছাকাছি থেকে বিদায় নেওয়াটা কঠিন।”
গত মাসে রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ক্লাব ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দেন ক্রুস। ইউরোয় চোখ রেখে গত ফেব্রুয়ারিতে অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরেন তিনি। এই আসর দিয়ে বুট জোড়া একেবারে তুলে রাখার ঘোষণা দেন আগেই।
ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি মোট ছয়বার- বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে একবার, রেয়ালের জার্সিতে পাঁচবার। জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন ২০১৪ বিশ্বকাপ। তবে ইউরোর ট্রফিটা অধরাই রয়ে গেল তার।
২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের পর জার্মানিও পারেনি আর কোনো বড় টুর্নামেন্ট জিততে। গত দুটি বিশ্বকাপে তাদের পথচলা থামে গ্রুপ পর্বেই। মাঝে ২০২০ ইউরোর শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় প্রতিযোগিতাটির তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
গত কয়েক বছরের বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পর এবারের ইউরোর আগে জার্মানিকে ঘিরে সমর্থকদের আশাও খুব একটা ছিল না। তবে স্কটল্যান্ডকে ৫-১ ও হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলে হারিয়ে, সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে শেষ সময়ের গোলে ১-১ ড্র করে গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউটে পা রাখে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। তাতে সমর্থকদের প্রত্যাশাও বেড়ে যায়।
শেষ ষোলোয় তারা ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় ডেনমার্ককে। এবার স্পেনের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করলেও পেরে উঠল না শেষ পর্যন্ত। তবে এই দলকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী ক্রুস।
“আমরা সবাই গর্বিত হতে পারি, কারণ আমরা উন্নতি করেছি। একটি ফুটবল জাতি হিসেবে জার্মানিকে আবার আশার আলো দেখাতে সাহায্য করতে পেরে আমি খুশি। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে দলটি সফল হবে। কিন্তু আজ আমরা হতাশ, কারণ এই প্রতিযোগিতায় আরও অনেক দূর যেতে চেয়েছিলাম আমরা।”