শেষ হলো ব্রাজিলিয়ান তারকার সাফল্যমন্ডিত দুই দশকের ক্যারিয়ার।
Published : 06 Feb 2025, 07:07 PM
শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার তিন মাসের মাথায় ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিলেন মার্সেলো। শেষ হলো ব্রাজিলিয়ান তারকার সাফল্যমন্ডিত প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ার।
৩৬ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন রেয়াল মাদ্রিদের সাবেক ডিফেন্ডার মার্সেলো।
স্বদেশের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের যুব দল থেকে উঠে আসা এই লেফট-ব্যাকের সিনিয়র ফুটবলে অভিষেক হয় সেখানেই, ২০০৫ সালে। ২০০৭ সালে তিনি পাড়ি জমান রেয়াল মাদ্রিদে।
স্পেনের সফলতম ক্লাবটির হয়েই ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটান তিনি। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ১৫ বছরের অধ্যায়ে হয়ে ওঠেন তার সময়ের সেরা লেফট-ব্যাকদের একজন। দলটির হয়ে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ছয়টি লা লিগাসহ জয় করেন অনেক শিরোপা।
রেয়ালে পাড়ি জমানো, সেখানে সতীর্থদের সঙ্গে শিরোপা উদযাপন, এছাড়া ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেক মুহূর্তের ভিডিওটি পোস্ট করে মার্সেলো লিখেছেন, “একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার গল্পটা এখানেই শেষ হচ্ছে, তবে ফুটবলে এখনও দেওয়ার মতো আমার অনেক কিছু আছে।”
রেয়ালে সাড়ে ১৫ বছর কাটিয়ে ক্লাবটির ১২০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন মার্সেলো। ২০২২ সালে বের্নাবেউ ছাড়ার সময় তিনিই ছিলেন ক্লাবটির সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী, ২৫টি। পরে অবশ্য তাকে ছাড়িয়ে যান নাচো ফের্নান্দেস, লুকা মদ্রিচ ও দানি কারভাহাল।
এরপর গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে পাঁচ মাসের ছোট্ট অধ্যায় শেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্সেলো ফিরে যান ফ্লুমিনেন্সে। ওই বছরই দলটির হয়ে কোপা লিবের্তাদোরেস ও রিও দে জেনেইরো স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেন তিনি।
যদিও ‘প্রিয় ঠিকানায়’ শেষটা সুখকর হয়নি মার্সেলোর। কোচ মানো মেনেজেসের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ানোর পর, গত নভেম্বরে তার চুক্তি বাতিল করে ফ্লুমিনেন্স। এরপর আর কোনো ক্লাবে যোগ দেননি তিনি।
লম্বা একটা সময় জাতীয় দলেও অপরিহার্য ছিলেন মার্সেলো। যদিও আন্তর্জাতিক ফুটবলে বড় কোনো শিরোপার স্বাদ তিনি পাননি।
ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে মোট ৫৮ ম্যাচ খেলে ৬টি গোল করেছেন মার্সেলো। দেশের মাটিতে ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া, ২০০৮ অলিম্পিকসে ব্রোঞ্জ ও ২০১২ অলিম্পিকসে রুপা জয়ী দলেও তিনি ছিলেন।