রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে বেলজিয়ামের রানি

উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থী শিশু এবং মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলবেন রানি।

তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসা বেলজিয়ামের রানি মাটিল্ডা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গেছেন।

মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মাটিল্ডা। সেখান থেকে সড়ক পথে সরাসরি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, বেলজিয়ামের রানি দিনব্যাপী সফরে শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের কার্যক্রমের পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।

দুপুরে তিনি উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থী শিশু এবং মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলবেন। পরে ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গাছের চারা রোপণ করবেন।

রানির সফরে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় প্রশাসন এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী কমিশনার।

শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা রানির শরণার্থী শিবির পরিদর্শন ও বিভিন্ন কার্যক্রমে উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে তিন দিনের সফরে সোমবার ঢাকা আসেন বেলজিয়ামের রানি মাটিল্ডা। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে রানিকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ‘অ্যাডভোকেটের’ হিসেবে রানি মাটিল্ডার এই বাংলাদেশ সফর।

জাতিসংঘের মহাসচিবের ১৭ জন এসডিজি অ্যাডভোকেট আছেন, তাদেরই একজন বেলজিয়ামের রানি।

তিন দিনের সফরে তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও একটি পোশাক কারখানা, স্থানীয় স্কুল এবং বন্যার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি প্রকল্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তার।

খুলনায় পানি নিয়ে ইউএনডিপির একটি প্রকল্পও পরিদর্শনের কথা রয়েছে রানির।