কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে এক যুবকের জালে সাকার মাছ ধরা পড়েছে। এ অঞ্চলে অপরিচিত বলে মাছটি দেখতে উৎসুক লোকজন জড়ো হন।
খবর পেয়ে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ মাছটি দ্রুত মেরে ফেলার পরামর্শ দেন কুড়িগ্রাম জেলার এক মৎস্য কর্মকর্তা।
সোমবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের নয়ারহাট এলাকার ধরলা নদীতে ইউনুস আলী নামের এক যুবকের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
প্রথমে চিনতে না পেরে মাছটি দেখতে আসা কেউ কেউ ‘আন্ধারি শোল’ বা ‘উড়ুক্কু’ মাছ নামে ডাকেন। পরে ইউনুস আলী মাছটি তার বাড়ির পুকুরে এনে ছেড়ে দেন।
মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, সাকার দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেণু খেয়ে মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ মাছ যে কোনো পরিবেশে বাঁচতে পারে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধির কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। মাছটি খাওয়া যায় না। সর্বোপরি সাকার মাছ জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে। ফলে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাছটি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
ইউনুস আলী বলেন, “মাছটি জালে উঠার পর প্রথমে আমরা কেউ চিনতে পারি নাই। এলাকার মানুষ এসে একেক নাম বলছিল। পরে মাছটি পুকুরে ছেড়ে দিয়েছি। যদি মাছটি রাক্ষুসে বা ভয়ংকর হয়, তাহলে আজকেই মাছটি পুকুর থেকে তুলে মেরে ফেলা হবে।”
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রী কালিপদ রায় বলেন, “সাকার মাছ ক্ষতিকর হওয়ায় সরকারিভাবে দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি এই অঞ্চলে আগে পাওয়া যায় নাই কিংবা এ জাতীয় মাছ ধরা পড়ার খবর শোনা যায় নাই।”
তিনি আরও বলেন, “রাক্ষুসে প্রজাতির এ মাছটি দ্রুততম সময়ে মেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেননা এই মাছটি অনান্য প্রজাতির মাছগুলোর বংশ বৃদ্ধি নষ্ট করে।”
এ বিষয়ে জেলায় জেলে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হবে বলেও জানান এ মৎস্য কর্মকর্তা।