ঈদে কাশিমপুরে ৬ সহস্রাধিক বন্দির জন্য মাংস-পোলাও

ঈদের দিন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ছয় বিদেশি নারীসহ সব বন্দিদের বিশেষ খাবার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অসহায় কয়েকজন বন্দিকে শাড়ি ও লুঙ্গি দেওয়া হয়।

মহিলা কারাগার বাদে প্রতিটি কারাগারে বন্দিদের জন্যই পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১, পার্ট-২, হাইসিকিউরিটি ও মহিলা কারাগারে ছয় হাজারের বেশি বন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশ রয়েছেন ফাঁসির আসামি। রয়েছেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিও।

এ ছাড়া মহিলা কারাগারের ‘ডে কেয়ার সেন্টারে’ বন্দিরে সঙ্গে আসা ৩৭ জন শিশুও রয়েছে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এর সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, তার কারাগারে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১ হাজার ২৪১ জন বন্দি রয়েছেন। এখানে বন্দিদের জন্য ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্দিরে মধ্যে ১০৪ জন ফাঁসি, তিন শতাধিক যাবজ্জীনের আসামি রয়েছেন।

এ কারাগারে বন্দিদের খাবারের তালিকায় রয়েছে সকালে পায়েস-মুড়ি, দুপুরে মাংস, পোলাও, সালাদ, পান-সুপারি, কোল্ড ড্রিংকস এবং রাতে সাদা ভাত, আলুর দম ও রুই মাছ।

কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২-এর সুপার মো. আমিরুল ইসলাম জানান, তার কারাগারে মোট বন্দি দুই হাজারের উপরে। তাদের মধ্যে শতাধিক ফাঁসি ও চার শতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। এখানে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় ৩ শতাধিক আসামি রয়েছেন। কারাগারের ভেতরে বন্দিদের জন্য ঈদের নামাজের ৬টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ কারাগারে বন্দিদের খাবারের তালিকায় রয়েছে সকালে পায়েস-মুড়ি, দুপুরে মাংস, পোলাও, পান সুপারি, কোল্ড ড্রিংকস এবং রাতে সাদা ভাত, আলুর দম, রুই মাছ ও মুড়িঘণ্ট।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, তার কারাগারে প্রায় আড়াই হাজার বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০০ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ও ৫০০ মতো যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। এখানে ঈদের আগের দিন ১শ অসহায় ও দুঃস্থ বন্দিকে লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে। এ কারাগারের ভেতরে বন্দিদের জন্য ঈদের নামাজের ২১টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ কারাগারে বন্দিদের খাবারের তালিকায় রয়েছে সকালে পায়েস, মুড়ি, দুপুরে মাংস, পোলাও, সালাদ, কোল্ড ড্রিংকস এবং রাতে সাদা ভাত, রুই মাছ ও মুড়িঘণ্ট।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান জানান, এখানে ৫শর মতো কারাবন্দি রয়েছেন। এছাড়া এ কারাগারের ‘ডে কেয়ার সেন্টারে’ বন্দিরে সঙ্গে আসা ৩৭ জন শিশু রয়েছে। বন্দিদের মধ্যে বিমানবন্দরে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জন বিদেশি নারী বন্দি ছাড়াও ফাঁসির আসামি রয়েছেন ৩১ জন। এদিন শিশুদের অন্য খাবারের পাশাপাশি চকলেট ও চিপস দেওয়া হয়েছে।

মহিলা কারাগারে খাবারের তালিকায় রয়েছে সকালে পায়েস-মুড়ি, দুপুরে মাংস-পোলাও, ডিম, ক্লোল্ড ড্রিংকস, পান সুপারি, সালাদ ও মিষ্টি এবং রাতে সাদা ভাত, আলুর দম ও মাছ।