জাফরউল্লাহ-নিক্সন সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০, ভাঙচুর-লুটের অভিযোগ

আহতরা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে দাবি দুপক্ষের লোকজনের।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2024, 02:54 PM
Updated : 27 Feb 2024, 02:54 PM

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য নিয়ে নিক্সন চৌধুরী ও কাজী জাফরউল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত ও ফিলিং স্টেশন ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের তারাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে এলাকাবাসীর বরাতে জানায় পুলিশ।

আহতরা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানায় দুপক্ষের লোকজন।

‘হাজী ইরফান উদ্দিন’ নামে তার ফিলিং স্টেশন ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফউল্লাহর সমর্থক মোখলেসুর রহমান সুমন মাতব্বর। 

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের সুমন মাতুব্বরের সঙ্গে একই গ্রামের নিক্সন সমর্থক হিসেবে পরিচিত ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদারের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব আছে। এ দুপক্ষের মধ্যে আগেও কয়েক দফা হামলা, মামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে।

মঙ্গলবার তাদের গ্রামের একটি জানাজায় সুমনের লোকজন অংশ নেন। এসময় ফারুক ও সাইদুলের লোকজন সুমনের দলের রাজিব মাতুব্বরকে (২৬) পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দু’দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, ঢাল, সড়কি, রামদা ও ইট-পাথর নিয়ে হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়কের উপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ়তে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন লোক আহত হন। তখন কিছু সময়ের জন্য ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সংঘর্ষ চলাকালে সুমন মাতুব্বরের ফিলিং স্টেশন, পাঁচটি মোটরসাইকেল, দুটি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর হয়।

এসময় হামলাকারীরা ফিলিং স্টেশন থেকে টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায় বলে সুমনের অভিযোগ।

খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত ও যান চলাচল স্বাভাবিক করে। ঘটনা স্থল থেকে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে।

মোকলেসুর রহমান সুমন বলেন, “আমি সংসদ নির্বাচনে কাজী জাফরউল্লার নৌকার নির্বাচন করেছি। আমাদের তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদার স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরী পক্ষে নির্বাচন করেন। এ বিষয়ে তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

“আমার সম্মান নষ্ট ও ক্ষতি করার জন্য আমার লোকজনকে ধরে নিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। কয়েকজনকে মারধর করেছে। আমার পেট্রোল পাম্পটি ব্যাপক ভাঙচুর করেছে, পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। পাম্প থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ফারুক তালুকদারের লোকজন নিয়ে গেছে।”

দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্বীকার করে ফারুক তালুকদার বলেন, “সুমনের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আমাদের লোকজন পেলেই সুমনের লোকজন মারধর করেন। আজকে আমার একজন লোককে মারধরের কারণে মারামারি হয়েছে।”

ভাঙ্গা থানার এসআই মনির হোসেন জানান, সংঘর্ষে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল-রশিদ জানান, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।