বিকাল ৪টা থেকে ৬ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ

বৈদ্যুতিক সেচপাম্প চালানো যাবে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2024, 10:27 AM
Updated : 13 March 2024, 10:27 AM

রোজায় গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস বিদ্যুতের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও সেচ পাম্পের জন্য নতুন সূচি ঘোষণা করেছে সরকার।

বুধবার থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর বৈদ্যুতিক সেচপাম্প চালানো যাবে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত।

এর আগে মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এক দিনের মাথায় ওই সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হল।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, “রোজা ও সেচের মওসুমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। পুরো মার্চ মাস ও রোজার মাসে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সাপেক্ষে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করব।

মঙ্গলবারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ঈদ ঘিরে ৭ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। সেই সিদ্ধান্তই বহাল আছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

ঈদের পর ১৯ এপ্রিল থেকে আগের মতো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকবে বলে মঙ্গলবারের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল।

গ্যাস সংকট নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “৩০ মার্চের আগে আরেকটি এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট বা এফএসআরইউ) আসছে না। ফলে আগে যেখানে এলএনজি থেকে ২০ শতাংশ গ্যাস পাওয়া যেত, এখন পাওয়া যাচ্ছে ১০ শতাংশ।

“নিজস্ব গ্যাসের উৎপাদনও ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট কমে গেছে। এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে বাসা বাড়ির গ্যাসের বিকল্প এলপিজিতে যেতে হবে। আমি আশা করছি এবং অনুরোধ করছি, যেসব এলাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংকট তারা যেন এলপিজির ব্যবহারের দিকে মনোযোগী হয়।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, "কোনো শিল্প এলাকা বন্ধ করছি না। মার্কেটও আগের নিয়ম অনুযায়ী খোলা থাকবে।"