সিলেট নগরীতে চলছে ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন’, প্রাচীন বৃক্ষ নিধন

সিলেট বন বিভাগ জানিয়েছে, বেশ কিছু প্রকল্পে নিলেও সুবিদবাজারের দস্তিদার বাড়ি দিঘির পাড়ের গাছ কাটার অনুমতি নেয়নি সিটি করপোরেশন।

বাপ্পা মৈত্রসিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2024, 03:54 AM
Updated : 23 March 2024, 03:54 AM

সিলেট নগরীতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি প্রাচীন বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে।

বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই কাটা হচ্ছে নগরীর বড় বড় গাছ। এ ছাড়া একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি রাস্তায় সংস্কার কাজ শুরু করে নগরবাসীকে ফেলা হয়েছে চরম দুর্ভোগে।

এ নিয়ে নগরীর বাসিন্দা ও সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী কিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রকল্প পরিকল্পনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের উদ্দেশ্যই হল প্রাচীন গাছগুলোকে কেটে উন্নয়ন প্রকল্প তৈরি করা।

“তারা গত দুই দশকে নগরী থেকে ছায়াদানকারী শতবর্ষী সহস্রাধিক বৃক্ষ উন্নয়নের নামে কেটেছে। কিছুদিন আগে মানিকপীর টিলায় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া টিলায় থাকা বন ও গাছ। কাজী জালালউদ্দিন স্কুলেও কাটা হয়েছে গাছ; বর্তমানে নগরীর উপশহরের বৃক্ষগুলো কাটা হচ্ছে।’’  

অনুমতি ছাড়াই কাটা হয়েছে গাছ

সিলেট নগরীর সাগরদিঘির পাড় ছড়ার দুই পাশে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে ১১টি গাছ কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বট, মেহগনি, কদম, রেইনট্রি ও কড়ই।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড় ১১টি গাছের মধ্যে ছয়টি গাছ কাটা হয়ে গেছে। তিনটি বড় রেইনট্রি গাছের ডাল কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা ডাল সড়ক ও ছড়ায় ফেলে রাখা হয়েছে। গাছের গুড়িগুলো তুলে রাখা হয়েছে সড়কে।

ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজে থাকা হিরণ মিয়া জানান, বাকি গাছগুলোও কাটা হবে।

দস্তিদার বাড়ি দিঘির পাড়ে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়ার বিষয়ে সিলেট বন বিভাগের সহকারী সংরক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, “সিটি করপোরেশন বেশ কিছু প্রকল্পে কিছু গাছ কাটার অনুমতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সুবিদবাজারের দস্তিদার বাড়ি দিঘির পাড়ের গাছ কাটার অনুমতি তারা নেননি।”

তার ভাষ্য, “সিটি করপোরেশন যেখানে দুটি গাছ কাটার অনুমতি নেয়; সেখানে কাটা হয় পাঁচটি গাছ।”

মঙ্গলবার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “সিটি করপোরেশনকে ড্রেনের কাজের জন্য গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

সাগরদিঘির পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজে গাছ কাটার অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে অফিসে গিয়ে ফাইল দেখে বলতে হবে।”

বুধবার এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।  

দিঘি পাড় এলাকার বাসিন্দা আহমেদ কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে গাছগুলো কাটা হয়েছে; সেগুলো অনেক পুরোনো গাছ। এই গাছগুলোর ছায়া সবসময় রাস্তায় থাকত। আমাদের পাড়ার রাস্তা ও বাসাবাড়িতে গাছ থাকায় গরম কম লাগত। রাস্তার পাশের গাছগুলো রক্ষা করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হলে ভালো হত।

“এ রাস্তা দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসে। তারা গাছের ছায়ার নিচ দিয়ে এতদিন চলাচল করত। সিটি করপোরেশনের উচিত ছিল, গাছগুলো রেখে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা। তাহলে পরিকল্পিত কাজ হচ্ছে, বলা যেত।”

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ধাপে এখানে ওয়াকওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিটি কর্তৃপক্ষ।

প্রথম ধাপে সিলেটের ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশ থেকে মণিপুরি সম্প্রদায়ের শ্মশান পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০ ফুট দীর্ঘ ওয়াকওয়ে করা হয়। এ অংশে পড়েছে ২৩টি গাছ, এর মধ্যে তিনটি পড়েছে ওয়াকওয়ের মধ্যে।

ওয়াকওয়েতে থাকা গাছ অক্ষত রাখা হয়েছে। বাকি গাছ রক্ষায় ওয়াকওয়ে কিছুটা বাঁকানো হয়েছে। একইভাবে দ্বিতীয় ধাপে মণিপুরি শ্মশান থেকে বর্ণমালা পয়েন্টের কিছুটা আগ পর্যন্ত ৩৮টি গাছ অক্ষত রেখে ওয়াকওয়ে নির্মাণের নকশা করা হয়।

সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে আরও জানা যায়, দস্তিদার বাড়ি দিঘির পাড়ে চলমান ওয়াকওয়ে নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি টাকা। 

সম্প্রতি দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরুর আগেই এখান থেকে কেটে ফেলা হয়েছে গাছগুলো। 

দিঘির সৌন্দর্য বর্ধনের নামে চারপাশে থাকা বড় বড় আটটি গাছ কেটে নির্মাণ কাজ চলছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিঘির চারপাশে থাকা গাছগুলোর মধ্যে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছে। গাছগুলো কেটে মাটি ফেলে জায়গা ভরাট করে চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলছে। এর মধ্যে বড় কাটা আটটি গাছের গুড়ি চোখে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দস্তিদার বাড়ি দিঘির চারপাশে গাছগুলো সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছিল, আর এই গাছগুলো অনেক পুরোনোও। অনেকগুলো গাছ কাটা হয়েছে।

এলাকার বাসিন্দা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সিলেট জেলার সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দিঘির চারপাশে থাকা গাছগুলোকে রক্ষা করেই উন্নয়ন কাজ করা যেত। প্রকৃতি ধ্বংস বা গাছ কেটে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে অপরিকল্পিত; এগুলোকে পরিকল্পিত কাজ বলা যাবে না।

“গাছ কাটা মানে পরিবেশের বিপযর্য়। বড় একটি কেটে ১০টি গাছ লাগিয়েও তা পূরণ করা যায় না।”

তিনি বলেন, “প্রথমে ১০টি গাছ কাটার কথা ছিল। পরে আটটি গাছ কাটা হয়, আর দুটি গাছের ডাল কাটা হয়েছে।”  

গাছ কাটায় প্রতিবাদ করেছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, “গাছগুলো রেখে ওয়াকওয়ে করা হলে প্রকৃত সুন্দর ফুটে উঠত।”

সাগরদিঘির পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজে গাছ কাটার বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আটটি গাছ কাটার অনুমতি রয়েছে।”

তবে সুবিদবাজার দস্তিদার বাড়ি দিঘির গাছ কাটার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি তার।

গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ সড়ক বন্ধ রেখে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি

সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সড়ক বন্ধ রেখে একসঙ্গে চলছে স্যুয়ারেজ লাইন সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ। ফলে নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুভোর্গ। নগরীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকার সড়কেও লেগে থাকে গাড়ির দীর্ঘ সারি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিটি করপোরেশন একসঙ্গে নগরের যেসব রাস্তায় কাজ শুরু করেছে; তাতে বুঝা যায়, এই কাজ পরিকল্পিত নয়। তাদের কর্মপরিকল্পনা দেখে মনে হচ্ছে, মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর জন্যই এসব করা হচ্ছে। না হলে রমজান মাসে এ রকম হওয়ার কথা না।”

তিনি মনে করেন, “কাজ শুরু করার আগেই যানজট নিরসনে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা উচিত ছিল।” 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ‘উন্নয়নমূলক কাজ চলিতেছে, বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করুন; সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়ে নগরীর আম্বরখানা-চৌহাট্টা সড়কটির দু’পাশ বন্ধ রেখে বন্ধ রেখেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের আম্বরখানা পয়েন্টে রাস্তা খুঁড়ে বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। আর দরগাহ গেইট পয়েন্টে চলছে গ্যাস লাইন মেরামত ও বক্স কালভার্ট নির্মাণের কাজ। রাস্তায় রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। 

এ সড়কে চলা কাজ শেষ হতে ছয়মাস সময় লাগবে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

এদিকে, নগরীর চৌহাট্টা-রিকাবীবাজার সড়ক ব্যবহার করে জেলা স্টেডিয়াম ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাতায়াত করেন নগরবাসী।

গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কেরও একপাশে যান চলাচল বন্ধ রেখে চলছে পুরোনো কালভার্ট ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কাজ। ফলে তীব্র যানজটে পড়তে হচ্ছে সড়ক ব্যবহারকারীদের।

অপরদিকে, নগরীর নাইওরপুল-সোবাহানীঘাট সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে বক্স কালভার্ট ও রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য।

ফলে সোবহানীঘাট, বন্দরবাজার এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। আর উপশহর পয়েন্টে রাস্তার উন্নয়নমূলক ও ড্রেনের কাজের কারণেও যানজট।

উপশহর-সোবাহানীঘাট সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মো. শাকিল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোজা-রমজানের দিনেও রাস্তা বন্ধ রেখে কাজ করা হচ্ছে। ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে আধা ঘণ্টার ওপরে। দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকার কারণে আশপাশের পাড়ায়ও এর প্রভাব পড়ছে। পাড়া-মহল্লায় তীব্র শব্দ-দূষণ হচ্ছে!

“মূল কথা, আমাদের দুভোর্গ দেখার কেউ নাই।”      

নগরীর চৌহাট্টার ফুটপাত দিয়ে হেঁটে বাসায় ফেরা ইকবাল চৌধুরী নামে আম্বরখানার এক বাসিন্দার দাবি, “আগে নগরে উন্নয়ন কাজের জন্য একসাথে রাস্তার দুপাশই বন্ধ রাখা হত না। একপাশ খোলা রাখা হত। কিন্তু কিছুদিন আগে শুরু হওয়া কাজের জন্য রাস্তার দুই পাশই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আম্বরখানা থেকে বন্দরবাজার যেতে যানজটে বসে থাকতে হয়। তাই বন্দরবাজার থেকে আসার সময় চৌহাট্টা এসে হেঁটেই বাসায় যাচ্ছি।“

তার ভাষ্য, “হুটহাট এসব কাজ শুরু করা হয়েছে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই। তাছাড়া অপরিকল্পিতভাবে বক্স কালভার্ট নিমার্ণের কারণে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে, বর্তমানে আরও বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।’’

দরগাহ গেইট এলাকার হাসান মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, “রাস্তায় কাজ থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। মানুষজন দোকানে আসতে পারেন না। সামনে ঈদ, আমাদের আয়-রোজগার প্রয়োজন। তাই দ্রুত কাজ শেষ করে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হোক।’’    

মাহফুজ নামে সিএনজিচালিত এক অটোরিকশা চালক  বলেন, “আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে আগে ৫ মিনিটও লাগতো না বন্দর যেতে। আর এখন ঘুরে-ঘুরে যেতে হয়, জ্যাম তো আছেই। একবার জ্যামে পড়লে আর গাড়ি চালাতেই মন চায় না। কিন্তু ভাড়া একটু বাড়ালেই সমস্যা।”

নগরীর পাঁচটি সড়কে একসঙ্গে সংস্কার কাজের বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও নগর পরিকল্পনাবিদ ড. মো. জহির বিন আলম বলেন, “এগুলোর বিষয়ে আমি সরাসরি মেয়রকে রিকুয়েস্ট করেছি এবং প্রধান প্রকৌশলীকে নিষেধ করেছি।”

তার দাবি, “উনাদের পরিকল্পায় প্রথম ভুল ছিল একসঙ্গে পাঁচটা সড়কের কাজে হাত দেওয়াটা। কারণ, এই পাঁচটিই হল আমাদের মেইন রাস্তা।“ 

তার মতে দ্বিতীয় ভুল, “এই সময়ে কাজ শুরু করাটা ঠিক হয়নি। এখন ঈদের আগ মুহূর্ত মানুষজনকে মার্কেটে যেতে হবে এই রাস্তাগুলো দিয়েই। আমি জানি না, এটা কেন শুরু হয়েছে। আগামী ছয় মাস এই রাস্তা আর ঠিক হবে না।”

জলাবদ্ধতা নিরসনে বক্স কালভার্ট কোনো সমাধান নয় দাবি করে তিনি বলেন, “বক্স কালভার্ট নির্মাণে আমরা নিষেধ করেছি; স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সামনেই সবাইকে তথ্য দিয়েছি। তারপরও এগুলো কেন করা হচ্ছে তা আমি জানি না। এটা পরিকল্পিত কাজ নয়; অপরিকল্পিত। এটা কার উদ্দেশ্য বা কেন করতেছেন তারা। আগের কোনো প্ল্যান থাকলে পরিবর্তন করবে উনারা।”

সিলেট সিটি করপোরেশন কী বলছে

একসঙ্গে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সড়কে কাজের বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, “বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। এজন্য নগরবাসীর সাময়িক কষ্ট হচ্ছে এটা সত্য; তবে কাজগুলো করাটা জরুরি। কালভার্ট নির্মাণ কাজ রমজানেই শেষ হবে;  ড্রেনের কাজ চলমান থাকবে।”

অপরিকল্পিত নগর উন্নয়নের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “নগরীর উন্নয়ন কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ীই হচ্ছে।’’