‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’: সিরাজগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে দুদকের মামলা

ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত চার কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুদক।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2024, 03:49 PM
Updated : 20 March 2024, 03:49 PM

অবৈধ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

বুধবার দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন বলে জানিয়েছেন ওই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খায়রুল হক।

আসামি সাইফুল ইসলাম উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক। অন্যজন হলেন- চেয়ারম্যানের স্ত্রী জোমেলা খাতুন।

সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সাইফুলকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১২ মে তিনি দুদকের পাবনা কার্যালয়ে সম্পদের বিবরণী জমা দেন।

সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ৫৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য দেন সাইফুল। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মোট পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।

সাইফুলের দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ২০ লাখ সাত হাজার ৮৫৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যয়ে ১৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকার গরমিল পাওয়া যায় বলে জানায় দুদক।

সাইফুলের দেওয়া সম্পদের বিবরণীর মধ্যে মোট এক কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার ৬৭৯ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে তার মোট সম্পত্তির সঙ্গে চার কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৪ টাকা সম্পদের অসঙ্গতি দুদকের তদন্তে উঠে আসে।

একইভাবে সাইফুলের স্ত্রী জোমেলা খাতুন তার সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলে মোট এক কোটি পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ২১৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে এক কোটি ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৮ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া গেছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সব মিলিয়ে জোমেলা খাতুনের মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য এক কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা; যার বিপরীতে মাত্র ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩০ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় বলে জানায় দুদক।

এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।