সিলেটে ‘ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা’ তরুণী, গ্রেপ্তার যুবক

ধর্ষণের পর বিয়ের কথা বললে ‘প্রেমিক’ টালবাহানা শুরু করে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2023, 02:47 PM
Updated : 21 May 2023, 02:47 PM

সিলেটের ওসমানীনগরে ‘ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া’ তরুণীর মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত শনিবার মামলা দায়েরের পর ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে রোববার সন্ধ্যায় ওসমানীনগর থানার ওসি মাছুদুল আমিন জানান।

তিনি বলেন, ‘‘ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএনজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ভর্তি করা হয়েছে।”

৩২ বছর বয়সী গ্রেপ্তার জয়নাল ওসমানীনগরে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের খাশিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, প্রায় ৯ মাস আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের খাশিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে জয়নালের সঙ্গে একই উপজেলার ওই তরুণীর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে জয়নালের সঙ্গে তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

জয়নাল মাঝে-মধ্যেই ওই তরুণীর বর্তমান বাসায়ও আসা-যাওয়া করতেন। এ অব্স্থায় জয়নাল বিয়ের প্রস্তাব দিলে তরুণী রাজি হন। জয়নাল ওই তরুণীকে বিয়ে করবে বলে সিলেট শহরে নিয়ে যান। কিন্তু জয়নাল কাজী অফিসে না গিয়ে ওই তরুণীকে নিয়ে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে উঠেন।

তরুণী বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে জয়নাল জানান, হোটেলে একটি রাত থেকে পরের দিন তারা আদালতে গিয়ে বিয়ে করবেন।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে হোটেলে জয়নাল ওই তরুণীকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।

পরের দিন জয়নাল কাজী অফিসে যাওয়ার বিষয়ে টালবাহানা শুরু করলে ওই তরুণী বাসায় ফিরে যান।

বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দিয়ে এর পরও বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জয়নাল ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, তরুণী শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে চিকিৎসকের কাছে যান একটি হাসপাতালে। চিকিৎসক জানান, তিনি (তরুণী) ৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।

বিষয়টি জয়নালকে জানালে জয়নাল বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে ‘প্রেমিকার’ গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলতে বলেন।

মামলার নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নিরূপায় হয়ে গত ১৯ মে দুপুরে জয়নালের গ্রামের বাড়ি গিয়ে তার বাবাকে বিষয়টি জানান ওই তরুণী।

কিন্তু জয়নালের বাবা তরুণীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি তাড়িয়ে দেন।

এ বিষয়ে তরুণীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয় বলে ওই থানার ওসি মাছুদুল আমিন জানান।