অটোরিকশায় আগুন, ভাংচুর: রাঙামাটিতে ধর্মঘটের ডাক

রাঙামাটিতে অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ ও একদিন পর ফের ভাংচুরের প্রতিবাদে জেলা শহরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে অটোরিকশা চালক-মালিক সমিতি।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় চালক সমিতির সাধাণন সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু এ কথা জানান।

তিনি বলেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। তবে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বহনকারী অটোরিকশা ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে।

শুক্রবার রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কে ‘চাঁদার টোকেন না থাকা’য় একটি অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়া হয়; ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারর জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই শনিবার রাতে শহরতলির আসামবস্তিতে আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় ভাংচুর চালানো হয়।

মিজানুর রহমান বাবু বলেন, “আল্টিমেটাম ঘোষণার পরও প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে সন্ত্রাসীরা আবার নিরীহ চালকের উপর হামলা ও ভাংচুর করল। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছি।”

কর্মসূচি ঘোষণার পর রাতেই রাঙামাটি শহরে মাইকিং করে তা প্রচার করে সমিতি পক্ষ থেকে।

বাবুর অভিযোগ, রাত ১০টার কিছু পর আসামবস্তি-রাঙাপানি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরের এলএনজি স্টেশন থেকে রিফিল করে গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন সংগঠনটির কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য চালক আবুল হোসেন। তখন পাম্পের একটু পরই তার গাড়িতে ঢিল ছোড়া হয়। চালক পায়ে আঘাত পান এবং গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি দ্রুত পালিয়ে চলে যান।

“ঘটনার পরপরই আমরা খবর পেয়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।”

এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি কবির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে আছি, লোকজনের সাথে কথা বলছি। এখন তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”

শুক্রবার দুপুরে রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কে ‘চাঁদার টোকেন না থাকায়’ একটি অটোরিকশা জ্বালিয়ে দেয় একদল লোক।

ক্ষতিগ্রস্ত চালক বলেন, ৪/৫ জন সশস্ত্র পাহাড়ী যুবক তার গাড়ি আটকে তাকে মারধর শেষে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়।

ওই ঘটনার পর রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছিল অটোরিকশার চালক-মালিকরা। সেই ৪৮ ঘণ্টা রোববার শেষ হওয়ার কথা। এর মধ্যেই নতুন করে এই ঘটনা ঘটল।