শেরপুর বারের নির্বাচনে সমঝোতা, বিনাভোটে আওয়ামী লীগের ৭, বিএনপির ৬ পদ

সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের একাংশ বিবদমান অপর অংশকে বাইরে রেখে বিএনপি ও সমমনা আইনজীবীদের সঙ্গে পদ ভাগাভাগির ঘটনা শেরপুরে ‘টক অব দি টাউন’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

শেরপুর প্রতিনিধি
Published : 27 Feb 2024, 05:16 PM
Updated : 27 Feb 2024, 05:16 PM

সমঝোতার মধ্য দিয়ে শেরপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৩ পদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাত, বিএনপির ছয় প্রার্থী বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকালে সমিতির ২ নম্বর ভবন মিলনায়তনে ভোট ছাড়াই নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র হোড়।

নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি পদে এমকে মুরাদুজ্জামান (বিএনপি), সহ সভাপতি পদে হরিদাস সাহা (আওয়ামী লীগ) ও আশরাফুল আলম লিচু (বিএনপি), সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আবুল মানসুর স্বপন (আওয়ামী লীগ), সহ সাধারণ সম্পাদক পদে মোক্তারুজ্জামান মুক্তার (বিএনপি) ও মোহাম্মদ আকরামুজ্জামান (আওয়ামী লীগ), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. আশরাফুজ্জামান আশরাফ (আওয়ামী লীগ), সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক পদে মো. রেজুয়ান উল্লাহ (বিএনপি), অডিটর পদে রেকামুল ইসলাম সাজু (আওয়ামী লীগ) এবং সদস্য পদে আসিফ জামান, মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান (বিএনপি), আব্দুল্লাহ আল-কায়সার মারুফ ও লক্ষ্মী রানী সরকার (আওয়ামী লীগ)।

এদিকে সমিতির ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের একাংশ বিবদমান অপর অংশকে বাইরে রেখে বিএনপি ও সমমনা আইনজীবীদের সঙ্গে পদ ভাগাভাগির ঘটনা শেরপুরে ‘টক অব দি টাউন’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে নানা অঘটন, বিশেষ প্রভাবে নির্বাচন কমিশনের দফায় দফায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পরিবর্তন এবং নেতা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় আইনজীবীদের বৃহৎ অংশের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের একাংশ বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে বিএনপি ও সমমনাদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছে সাধারণ সম্পাদকসহ নয়টি পদে মনোয়নপত্র দাখিল করেন।

অন্যদিকে, সমঝোতার জেরে বিএনপি ও সমমনারা সভাপতিসহ ১১ পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

একইদিন আওয়ামী লীগের অপর অংশ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তিন পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।

শেষে ‘প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে’ রোববার আওয়ামী লীগের বিবদমান অংশের সভাপতি এবং দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় বাড়ানোর কারণে সোমবার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পরিবেশ না থাকার অভিযোগ তুলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

একইদিন গভীর রাত পর্যন্ত শহরের একটি ল’ চেম্বারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ‘প্রভাবশালী’ কয়েকজন নেতার উপস্থিতিতে অন্যান্য পদে সমঝোতার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী ও বিএনপির পাঁচ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে বাকিদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচিতদের মধ্যে লক্ষ্মী রানী সরকার আওয়ামী লীগের অপর অংশের প্রার্থী ছিলেন।