২০২২ সালের ৬ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়ে পলাতক রয়েছেন এএসআই সৌমেন।
Published : 11 Feb 2024, 05:03 PM
কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে মা-ছেলেসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যায় এক পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ মো. রুহুল আমীন আসামির অনুপস্থিতে এ রায় ঘোষণা দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৌমেন রায়ের (৩৪) বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার আসবা গ্রামে। সবশেষ তিনি খুলনার ফুলতলা থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে রায়ে।
মামালার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ জুন কুষ্টিয়ার কাস্টম মোড়ের ডা. আজাদুর রহমানের চারতলা ভবনের নিচতলার মার্কেটের মধ্যে গুলি করে আসমা খাতুন, তার সাত বছর বয়সী ছেলে রবিন ও শাকিল খানকে হত্যা করেন সৌমেন। এ সময় সৌমেন রায়কে আটক করে জনতা পুলিশে দেয়।
তখন পুলিশ জানিয়েছিল, সৌমেন দাবি করেছিলেন আসমা তার স্ত্রী। অপরদিকে আসমার পরিবার থেকে জানানো হয়েছিল, সৌমেন আসমা খাতুনের তৃতীয় স্বামী; নিহত শিশু রবিন আসমার প্রথম স্বামীর সন্তান।
এ ঘটনার পর আসমার মা হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে সৌমেনকে একমাত্রও আসামি করে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় মামলা করেন। সৌমেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।
এরপর সৌমেন উচ্চ আদালত থেকে ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়ে পলাতক রয়েছে।
তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রোববার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।
বাদী হাসিনা খাতুন বলেন, “রায় হয়ে কী হবে। সে তো পালিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সে পালিয়ে যায়। এ মামলায় কীভাবে তার জামিন হয়? সত্যিই সে জামিন পেয়েছিল কি-না তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানাচ্ছি।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী বলেন, “পুলিশ সদস্য সৌমেনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। তবে তিনি উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনাদেশ প্রাপ্ত হয়ে ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে বেলবন্ড দাখিল করে কারামুক্ত হন। এরপর থেকে তিনি আদালতে হাজির না হয়ে পলাতক রয়েছেন।”
আরও পড়ুন: