মালিকদের ইটভাটা বন্ধ করে ব্লক তৈরির তাগিদ পরিবেশ মন্ত্রীর

“একশ দিনের একটি কর্মসূচি মাধ্যমে আমরা প্রাথমিক ভাবে পাঁচশটি ইটভাটা বন্ধ করে দেব “

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2024, 08:47 AM
Updated : 24 Feb 2024, 08:47 AM

ইটভাটা বন্ধ করে মালিকদের পরিবেশবান্ধব ব্লক তৈরির দিকে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। 

তিনি বলেন, “আমরা চাইবো, সবগুলো ভাটা বন্ধ হয়ে যাক। সবাই আধুনিক পদ্ধতিতে ব্লক তৈরি শুরু করুক।” 

শনিবার সকালে ফেনী সার্কিট হাউজে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, “ব্লকের দুইটা সুবিধা আছে; একটা হচ্ছে এখানে কোনো কৃষি মাটির ব্যবহার হয় না; আরেকটা হচ্ছে, ব্লক তৈরিতে কোনো বায়ু দূষণ হয় না।” 

তিনি বলেন, “সারা দেশের অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিষয়ে আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এর মধ্যে ইটভাটা নিয়ে আমাদের একশ দিনের একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এতে আমরা প্রাথমিকভাবে পাঁচশটি ইটভাটা বন্ধ করে দেব। 

“এগুলো শুধু বন্ধ নয়; যাতে পরবর্তীতে আর চালু করতে না হতে পারে; সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।“ 

মন্ত্রী বলেন, “আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, আমরা অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ভাটা বন্ধ করি; পরে আবার চালুও করা হয়। এবার আর এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”

ফেনীর ইটভাটার বিষয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “আমি যতটুকু জানি যখন ভাটাগুলো স্থাপন করা হয় তখন ভাটার আশপাশে কোনো বসতি ছিল না। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ছিল না। সময়ের পরিবর্তে এখন সব হয়ে গেছে। 

“এসব কারণে ইটভাটাগুলো নতুন করে নবায়ন দেওয়া হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমরা ব্লকের প্যাকেজের দিকে যাচ্ছি। আমরা আশা করব; এখানে যারা ভাটার মালিক রয়েছেন, তারা সরকার থেকে প্যাকেজ গ্রহণ করে ব্লকের দিকে যাবেন।” 

নদী দখল ও দূষণের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “সরকার জলাধার রক্ষায় ডিজিটাল ম্যাপিং করছে। এর মাধ্যমে আমাদের সবগুলো, নদী, জমি, খাল ও জলাধার সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে পারব। এরপর এর মনিটরিংটা আমরা ভালোভাবে করতে পারব।” 

তিনি বলেন, “দূষণের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কোন স্থানে কী পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়; আমাদের পৌরসভার সক্ষমতা কী? এসব বিবেচনা করে আমরা বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের ব্যবস্থাপনা করে যাচ্ছি। এসব বিষয় নিয়ে আমরা শুধু সমস্যার কথা বলতে চাই না। সমাধানেও কাজ করতে চাই।“ 

এ সময় বন বিভাগের পরিচালক (ভূমি পরিমাপ) আনিস মাহমুদ, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদ, সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শওকত আরা কলিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।