কক্সবাজার পৌরসভায় নৌকার জয়

মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।

সোমবার ভোটগ্রহণ শেষে কক্সবাজারের জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো বেসরকারি ফলাফলে এ কথা জানানো হয়েছে।

নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৯৯ ভোট।

অর্থাৎ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৩৩৬৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী।

এই নির্বাচনে মোট ৪৩টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯৪ হাজার ৮১১।

নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী জগদীশ বড়ুয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ১৬৮ ভোট। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫২ জন।

মাসেদুল হকের স্ত্রী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জোসনা হক পেয়েছেন ৬৯৮ ভোট।

এছাড়া পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত সাধারণ কাউন্সিলররা হচ্ছেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডে এসআইএম আকতার কামাল, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান মিজান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলাম মুকুল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এহেসান উল্লাহ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শাহাবুদ্দিন সিকদার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ওমর সিদ্দিক লালু, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওসমান সরওয়র টিপু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রাজ বিহারী দাশ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হেলাল উদ্দিন কবির, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সালাহউদ্দিন সেতু, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নুর মোহাম্মদ মাঝু এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এম এ মনজুর।

এছাড়া নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা হচ্ছেন ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শাহেনা আকতার পাখি; ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ইয়াসমিন আকতার; ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাহেদা আকতার এবং ১০ ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নাসিমা আকতার বকুল। 

নির্বাচনের আগে কক্সবাজারের ৪৩টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।

তবে সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এবারই প্রথম পৌরসভা নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে হয়েছে। ফলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় অনেককে।

সকালে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে কোনো কোনো বুথে ভোট গ্রহণে জটিলতা দেখা দেয়। পরে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মেশিন ঠিক করার পর আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

দুপুরে এসএম পাড়া কেন্দ্রে একজন মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোটারদের টাকা দেয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে হাতে নাতে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।