ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুকে অপহরণ-হত্যার পর লাশ লুকিয়ে রাখা হয় ডোবায়

পুলিশ জানায়, পরিবারের মোবাইলে কল দিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2024, 06:07 AM
Updated : 19 Feb 2024, 06:07 AM

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় অপহরণ ও হত্যার পর ডোবায় লুকিয়ে রাখা এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে শিশুটির ফুফাতো ভাইসহ দুইজনকে।

সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুটকি কান্দি গ্রামের ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মো. নূরে আলম।

নিহত ৭ বছরের ফাতেহা আক্তার ওই গ্রামের প্রবাস ফেরত বাছেদ মিয়ার মেয়ে।

আটক করা হয়েছে শিশুটির ফুফাতো ভাই দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে নাজিম (১৯) ও শুটকি কান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিনকে (২১)। 

নূরে আলম জানান, শনিবার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে পরিবারের মোবাইলে কল দিয়ে শিশুটিকে ‘অপহরণ’ করা হয়েছে জানিয়ে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তখন পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি পুলিশকে জানান।

ওসি আরও জানান, তদন্ত শুরু করে সোমবার সন্ধ্যায় প্রযুক্তির সহায়তায় দুই তরুণকে আটক করে পুলিশ। তাদের দুজনের মুঠোফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত চ্যাটিং পাওয়া যায়।

“জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শিশুটিকে হত্যার পর ডোবার পানিতে লুকিয়ে রাখার কথা জানায় তারা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের দেখানো ডোবা থেকে শিশু ফাতেহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।”

ওসি আরও জানান, এই ঘটনায় দুই তরুণকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিশুটির পরিবার থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ০৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]