বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থীও ভোট কিনতে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন।
নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন শনিবার বিকেলে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে কিছু খবর এসেছে যে, কেউ কেউ সাধারণ মানুষদের ভোট বাগাতে টাকার ছড়াছড়ি করছে। কিন্তু আমাদের হাতপাখার কর্মীরা নিজের খেয়ে নিজের পরে হাতপাখার জন্য কাজ করছে। জনগণ আমাদেরকে ভালোবেসেই ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।”
এর আগে বিকালে জাতীয় পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস নিজের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, “আমি শুনেছি, রাতের গভীরে কিছু ব্যক্তি পলাশপুরের ঘরে ঘরে দুই হাজার করে টাকা দিয়েছে।… যারা ভোট কেনার জন্য টাকা নিয়ে আসবে আপনারা সেই টাকা নেবেন। কিন্তু লুটেরাদের ভোট দেবেন না। ওরা আপনাদের টাকা চুরি করেছে; এখন ডাকাতি করার জন্য কিছু টাকা দিয়ে ভোট নিতে চায়।”
তবে কারা সেই কালো টাকা ছড়াচ্ছে এ নিয়ে জাপা কিংবা ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কিছু বলেননি।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম ভোটারদের ভয়-ভীতি অতিক্রম করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
বলেন, “একটি মহল সাধারণ ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু কোনোভাবেই ভোটকেন্দ্র ছেড়ে যাওয়া যাবে না।”
‘হাতপাখার নারী কর্মীরা কোরআন মাথায় রেখে ভোটারদের ভোট দেওয়ার শপথ করাচ্ছে’- এমন অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।
তিনি বলেন, “আসলে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মূলত হাতপাখার গণজোয়ার দেখে একদল মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।