খাগড়াছড়িতে পর্যটনের নতুন নতুন কেন্দ্র সৃষ্টি করা হলে পাহাড় আরও অনেক পর্যটককে মুগ্ধ করবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
Published : 28 Mar 2024, 11:10 AM
এক দশক আগের তুলনায় খাগড়াছড়িতে পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রতিনিয়ত তরুণ উদ্যোক্তারা এ খাতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এর সম্ভাবনাও বেড়েছে অনেকখানি।
তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতি এবং পর্যটনের নতুন নতুন কেন্দ্র সৃষ্টি করা হলে পাহাড় আরও অনেক পর্যটককে মুগ্ধ করবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
জেলা প্রশাসন ও পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের মতে, পাহাড়, ঝর্ণা, উপত্যকা, বন আর ঝিরির টানে প্রতি বছর কমপক্ষে এক লাখ পর্যটক আসে পার্বত্য এ জেলায়। পর্যটন কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ ভাল হওয়ায় খাগড়াছড়ি এখন পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণ গন্তব্য।
প্রতিদিনই সারা দেশ থেকে পর্যটকরা এখানে ছুটে আসছেন আলুটিলা, রিছাং ঝর্ণা, তৈদুছড়া, ঝুলন্ত ব্রিজ, শিলাছড়ি, মায়াবিনী লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র দেখতে।
আলুটিলায় বেড়াতে আসা পর্যটক সাফাত-উল-হক বলেন, “এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। তবে রিছাং ঝর্ণা ছাড়া অন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাতায়াতের সেরকম কোনো সুবিধা নেই।
পর্যটক মৌসুমী মৌ বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৈদুছড়া, তৈছামাসহ বিভিন্ন ঝর্ণার ছবি দেখেছি। তবে যাতায়াতের সুব্যবস্থা না থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সেখানে যাতায়াত করতে পারছি না।”
পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির বিকাশে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম বলেন, “রিছাং ঝর্ণায় যাতায়াত সহজ করার জন্য এরই মধ্যে সড়ক নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
কিন্তু দীঘিনালার তৈদুছড়া, তৈছাড়া ঝর্ণা এখনও পর্যটকবান্ধব হয়নি মন্তব্য করে নজরুল বলেন, “সেখানে যেতে সড়ক নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
তবে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র সৃষ্টিসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি রয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, “পর্যটন অর্থনীতির বিকাশের জন্য আলুটিলা এলাকায় বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকরা তিন থেকে চার ঘণ্টা ভ্রমণ করলেই সব স্পটে বেড়ানো শেষ হয়ে যায়। এখানে ঝর্ণা কেন্দ্রিক আরও অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। সেখানে যেতে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]