পদ্মা সেতুর অর্থ আত্মসাৎ: সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সেতুর জমি অধিগ্রহণের চার কোটি ৫৭ লাখ টাকা ওই দুজন নিজেদের একাধিক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তুলে নেন বলে জানায় দুদক।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2024, 04:18 PM
Updated : 21 Feb 2024, 04:18 PM

পদ্মা সেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরে দুইজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাবেক সার্ভেয়ার ও তার সহযোগীকে আসামি করে মঙ্গলবার মামলাটি করেন দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান।

আসামিরা হলেন- মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাবেক সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমান (৪৪) এবং তার স্থানীয় সহযোগী (দালাল) রুবেল হাওলাদার (৩৮)।

মোস্তাফিজুর পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমণি (নুরাইনপুর) গ্রামের বাসিন্দা। আর রুবেল হাওলাদার মাদারীপুর শহরের কুকরাইল-গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে জমি অধিগ্রহণের চার কোটি ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা নিজ নামে খোলা একাধিক ব্যাংক হিসাবে জমা করেন মোস্তাফিজুর ও রুবেল।

২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১৮টি চেকের মাধ্যমে তারা এ অর্থ আত্মসাৎ করেন। এমন অভিযোগ ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার বাদী মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, “সরকারি কর্মচারী সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুরের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন রুবেল। রুবেলের মাধ্যমে তিনি টাকা লেনদেন করেছেন বলে তথ্য প্রমাণ রয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“এ ছাড়া সরকারি টাকা আত্মসাৎ চক্রের সঙ্গে আরও যেসব সরকারি-বেসরকারি লোকজন জড়িত তাদের ধরতেও দুদকের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। মামলায় আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রের সঙ্গে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “আমার এখানে কোনো ভুল নেই। সরকারি কোনো টাকা আমি আত্মসাৎ করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

“সিনিয়র কর্মকর্তারা অনিয়ম করে আমাদের দিকে দায় চাপিয়ে এখন মামলা করে সর্বস্বান্ত করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

মাদারীপুর দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিক রহমান বলেন, “আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে এরই মধ্যে তাদের সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।

“আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের পক্ষে অর্জিত সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করা হবে।”