গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মহিলা কওমি মাদ্রাসার ছয় শিক্ষকের নামে মামলা করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ আসামিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুল আলম।
মামলায় বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা মাদ্রাসার ‘বড় হুজুর’ ইসমাইল হোসাইন শিশুটিকে ধর্ষণ করেছেন অভিযোগ করে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
তাকে সহযোগিতা করায় মাদ্রাসাটির শিক্ষক আওলাদ ওরফে আসাদুজ্জামান, মাসুম বিল্লাহ, মো. আল-আমিন, মিজানুর রহমান মিজু এবং আমেনা বেগমকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে ।
ওসি আশরাফুল বলেন, ১০ বছর বয়সী ওই ছাত্রী মাদ্রাসাটির আবাসিক ছাত্রী। বুধবার রাতে সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয়।
তার বাবা মৌখিকভাবে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে বিভিন্ন স্থান থেকে মূল অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পলাতক অপর আসামি মিজানুর রহমান মিজুকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বুধবার ইসমাইল হোসাইনের রুমেই ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে আসামিরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে জানান ওসি।
ওসি আরও জানান, শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তারদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মুকসুদপুর আমলি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার দ্বীপ সাহা।
পরে শিশুটির শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, ফরিদপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মেয়ের শারিরীক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমার মেয়ের ধর্ষণকারী বড় হুজুর ইসমাইল হোসাইনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ কাজে সহযোগিতা করায় অন্য শিক্ষকদেরও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
পুরোনো খবর